তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি, আইএনটিটিইউসি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা দলের দাপুটে জেলা নেতা দিব্যেন্দু রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা এক যুবতী। তমলুক শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসানে ভাড়াবাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। তমলুক থানার পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় ওই যুবতী আদালতের দ্বারস্থ হন।
পূর্ব মেদিনীপুরের সিজেএম আদালতের নির্দেশে গত ২৫ মে ওই নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দিব্যেন্দু বলেন, ওই যুবতী আগের একটি মামলায় সাহায্যের জন্য বারবার আমায় ডাকতেন। তাঁর ভাড়াবাড়িতে আমায় ডেকে পাঠাতেন। আমাকে ফাঁসানোই টার্গেট ছিল। সেটা আমি বুঝতে পারিনি। আমি তাঁর পুরনো মামলায় সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
advertisement
উল্লেখ্য, ওই যুবতী এক সময় বিজেপি নেত্রী ছিলেন। তমলুক শহরের এক বিজেপি নেতা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন বলে অভিযোগ। বিয়ের জন্য চাপ দিতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে ওই নেত্রী বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তাঁর দায়ের করা মামলায় কয়েকজন বিজেপি নেতা জেলও খেটেছেন। ওই সময় শাসক দলের পক্ষ থেকে নিগৃহীতা যুবতীর পাশে দাঁড়িয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এই অবস্থায় বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।
তার মধ্যেই এই অভিযোগ, ঘটনাকে ঘিরে জোর শোরগোল হয়েছে তমলুকে। তাঁকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি তৃণমূল নেতা আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই যুবতী। ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার পাশাপাশি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।