এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ফের অভিযান চালায় বর্ধমান থানার পুলিশ অফিসাররা। শহরের মেহেদিবাগান, পারকাস রোড, তেঁতুলতলা বাজার, রাজগঞ্জ বাজার ও তেলিপুকুর এলাকায় রাতভর পরপর তল্লাশি চলে। এই অভিযানে বিভিন্ন রকমের পঁয়ষট্টি কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেআইনিভাবে বাজি মজুতের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
করোনা পরিস্থিতিতে দূষণ কমাতে যেকোনও রকম বাজি বিক্রি মজুত ও পোড়ানো নিষিদ্ধ বলে দীপাবলির আগেই নির্দেশ জারি করেছিল হাইকোর্ট। তার জেরে এবার দীপাবলিতে বর্ধমান শহরে সেভাবে বাজি পুড়তে দেখা যায়নি। আতশবাজি না পোড়ায় বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল খুবই কম। শব্দ বাজি না পোড়ায় শব্দ দূষণ থেকে রেহাই পেয়েছিলেন বাসিন্দারা।বাজির আগুন থেকে দুর্ঘটনা অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছিল। এবার ছট পূজা উপলক্ষে বাজির ব্যবহার বন্ধ রাখা নতুন চ্যালেঞ্জ পুলিশের কাছে। বাজির ব্যবহার বন্ধ রাখতে আগেই ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল পুলিশ। সেই পরিকল্পনার অনুযায়ী পরপর অভিযান চালানো হচ্ছে। অন্যান্য বার ছট পূজা উপলক্ষে প্রচুর শব্দবাজির ব্যবহার হতে দেখা গিয়েছে। সে জন্যই ছট পুজো হয় এমন এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, কালীপুজোর আগে প্রচুর পরিমাণ আতশবাজি ও শব্দ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ছট পুজো আগে উদ্ধার হওয়া বাজির মধ্যে শব্দবাজি পরিমাণই বেশি। প্রচুর পরিমাণে চকোলেট বোম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই অভিযান লাগাতার চালানো হবে। বাজির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে সব থানাকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।