অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে, অথচ বাবা ফিরছে না দেখে মাঠে খুঁজতে যান ছেলে। ২৯ বছর বয়সি বিষ্ণুপদ কর মাঠে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর দেখেন, মাঠের একপ্রান্তে পড়ে আছে বাবা। বাবাকে বাঁচাতে গিয়েই মৃত্যু হয় বিষ্ণুপদর। স্থানীয়রা দুজনকেই বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানে চিকিৎসকতা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতি নিয়ে সরব হয় । ঘটনাস্থলে উপস্থিত মোহনপুর থানার পুলিশ।
advertisement
গতমাসেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে করুণ মৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী ছিল উত্তর চব্বিশ পরগণার খড়দহ। ঘরের মধ্যেই জমা জলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের ৷ মৃতদের মধ্যে এক দম্পতি সহ তাঁদের এগারো বছরের সন্তানের৷ আর এই মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল পরিবারের সবথেকে ছোট সদস্য চার বছরের পুত্রসন্তান৷ খড়দহের পাতুলিয়ার গভর্মেন্ট কোয়ার্টার৷ প্রবল বৃষ্টির জেরে ওই দম্পতির ঘরের ভিতরে জল জমেছিল৷ ঘরের মধ্যে জল জমে থাকা ফ্রিজের বিদ্যুৎ সংযোদ বিচ্ছিন্ন করতে যান গৃহকর্তা রাজা দাস (৩৯)৷ তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি৷ স্বামীকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে যান স্ত্রী পৌলমী দাস (৩৫)৷ বাবা- মাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে এবারে এগিয়ে যায় তাঁদের বড় ছেলে এগারোর বছরের শুভ দাস৷ বাবা- মায়ের মতো একই পরিণতি হয় ওই বালকেরও৷
Shankar Rai