চাষিদের কথায়, নবাবী আমলের গোলাপখাস পাকাতে ও মিষ্টি কাঁচাতেও মিষ্টি। নবাবী আমলের একটি গাছে দু’কুইন্টাল হলেও এবছর ৫০ কেজি আম নেই বলেই দাবি আম চাষিদের। গোলাপখাস মূলত সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত এই আম। গোলাপ ফুলের মত সুগন্ধ থাকায় এই নামে ডাকা শুরু হয়। প্রাচীন বাংলার আমগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এর গায়ে গোলাপের রঙের লালচে আভা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রোজগারের নতুন দিশা! পুকুর থাকলেই মিলছে বিনামূল্যে মাছ! দুর্দান্ত পদক্ষেপ প্রশাসনের
তবে গোলাপখাস ও চম্পা এখন আর কিছু সংখ্যক গাছ আছে। এবছর ফলন কম, যখন বাজারে মিলবে তখন এর দাম অধিক হবেই বলে ধারনা চাষিদের। অন্যদিকে চম্পা আম বাড়িতে রাখলেই গন্ধে মো মো করে চারিদিক। তবে এক একটি পিস অধিক দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে এই আম। একদা স্বাদ ও গন্ধের জন্য নবাবি তালুক মুর্শিবাদের আমের সুখ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুর্শিদাবাদের নবাবদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এনে তাঁরা নিজেদের বাগানে লাগাতেন। নবাবদের বাগানে ২০০ টিরও বেশি প্রজাতির আমগাছ ছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক আমবাগান কেটে বসতি গড়ে উঠেছে। কিছু কিছু আম বাগানের অস্তিত্ব থাকলেও হরেক প্রজাতির দেখা পাওয়া যায় না। ফলে নবাবি আমলের অনেক প্রজাতির আম ক্রমে জেলার মাটি থেকে হারিয়ে গেছে। আবার অনেক প্রজাতির আম অস্তিত্ব সঙ্কটে।
কৌশিক অধিকারী





