#বর্ধমান: টিনের গায়ে বড়বড় করে লেখা - নকল হইতে সাবধান। অথচ সেই টিনের মধ্য়েই কি না বিষাক্ত ঘি ৷ বর্ধমান শহর লাগো৷য়া দুবরাজদিঘির মাঠপাড়ায় হদিশ মিলল নকল ঘি তৈরির কারখানার ৷ উদ্ধার হয়েছে কয়েক হাজার কেজি নকল ঘি ও ঘি তৈরির কাঁচামাল ৷ আটক করা হয়েছে দু’জনকে ৷
advertisement
দুবরাজদিঘির জনবসতি পেরিয়ে ফাঁকা মাঠ ৷ তারই এক প্রান্তে রমরমিয়ে চলছিল নকল ঘি তৈরির কারখানা ৷ দিন-রাত এক করে চলছিল পরিশ্রম ৷ সেই পরিশ্রম যে নকল ঘি তৈরির পিছনে, সেটা টেরই পাননি স্থানীয়রা ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন মিষ্টি দোকান থেকে আনা হত খারাপ মিষ্টি ও মিষ্টির পচা রস ৷ পচা রসকে চলতি কথায় বলা হয় গাদ ৷ বিরাট ড্রামে এগুলোর সঙ্গে মিশত বিভিন্ন রাসায়নিক ৷ বেশ কয়েকবার সেগুলি ছাঁকার পর তার সঙ্গে মেশানো হত ঘিয়ের এসেন্স ৷ তারপর নকল করা নামী কোম্পানির লেবেলের বোতলে ভরা হত ৷ চড়া দামে বাজারে বিক্রি হত বিষাক্ত ঘি ৷
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রকাশ্য়ে চলছিল এই কারখানা ৷ স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের বলা হয়, গোখাদ্য় তৈরি হচ্ছে কারখানায় ৷ কিন্তু তার আড়ালেই চলত এই কারখানা ৷ ফোটানোর সময় দুর্গন্ধ ছড়াত ৷ বারবার বলেও লাভ হয়নি ৷ তখনও বুঝতে পারেননি, জনসমক্ষে তৈরি হচ্ছে বিষ ৷
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (হেড কোয়ার্টার) সৌভিক পাত্রের নেতৃত্বে অভিযানে নকল ঘি তৈরির কারখানার হদিশ মেলে ৷ ঘি তৈরি হওয়ার পর মজুত করা হত পাশের একটি বাড়িতে ৷ বাড়িটি সিল করেছে পুলিশ ৷ বাজারে বিষাক্ত ঘি নিয়ে যাওয়ার জন্য় ব্য়বহার করা হত তিনটি গাড়ি ৷ সেগুলিকেও আটক করা হয়েছে ৷ জিজ্ঞাসবাদের জন্য় আটক করা হয়েছে দুজনকে ৷ বিষাক্ত ঘি চক্রে জড়িত কারা , তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ ৷