গ্রামবাংলার লোকশিল্প। কখনও তা নৃত্যে ছন্দময়। কখনও সুরে বর্ণময়। তাল-ছন্দ-লয়ে এভাবেই তাঁদের সত্ত্বা বাঁচিয়ে রাখেন লোকশিল্পীরা। পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে অন্য পেশার হাত ধরছিলেন লোকশিল্পীরা। মালদহের গম্ভীরা, ডোমনি, মানব পুতুল নাচ শিল্পে ছন্দের তাল কেটেছিল। হারিয়ে যাচ্ছিল সুরে মাতানো দিনগুলো। লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় সুদিন ফিরিয়েছে রাজ্য সরকার।
সুদিন ফিরেছে লোকশিল্পে
advertisement
-----------------------
- ২০১৩ সালে মালদহে তথ্য সংস্কৃতি দফতরে নথিভুক্ত ৪৮৫ জন
- ২০১৪ সালে প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয় ৩৯৯ জনকে
- ২০১৫ সালে নাম নথিভুক্ত করান আরও ৪৫০ জন
- ২০১৬ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ১ হাজার
- ২০১৭ সালে ১,৪৯৮ জন লোকশিল্পীর নাম নথিভুক্ত
- শুধু মালদহেই সরকারি নথিভুক্ত লোকশিল্পী ৩,৭৭১ জন
লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় ভাতা-পেনশন ও অন্য সুবিধা পাচ্ছেন লোকশিল্পীরা।
লোকপ্রসার প্রকল্পে সুবিধা
-----------------------
- ৬০ বছরের নীচে শিল্পীেদর মাসিক ১ হাজার টাকা 'বহাল' ভাতা
- ৬০ বছরের উপরে শিল্পীদের মাসিক ১ হাজার টাকা পেনশন
- অনুষ্ঠান বা সরকারি প্রকল্পের প্রচারে যুক্তদের....
- .... পারিশ্রমিক, দৈনিক ১ হাজার টাকা
- চলতি বছরে মালদহে শিল্পীদের 'বহাল' ভাতা, পেনশন বাবদ...
- বিলি ২ কোটি ২৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা
সরকারি আর্থিক সহায়তায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নানা অনুষ্ঠান করছেন লোকশিল্পীরা। গড়ে উঠছে নতুন গম্ভীরা দল। পিছিয়ে নেই মহিলারাও। সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে লোকশিল্পীদের দল।
সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোক্তারা চাইলে কার্যত নিখরচায় শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করাতে পারবেন। উদ্যোক্তারা আবেদন জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের দফতরে। ওই দফতরই লোকশিল্পীদের দল বাছাই করবে। শিল্পীদের পারিশ্রমিক থেকে খাবার খরচ সবই মেটাবে রাজ্য। নতুন ব্যবস্থায় এক জেলার লোকশিল্পীদের অন্য জেলায় গিয়ে অনুষ্ঠানের রাস্তা খুলেছে। প্রত্যেক দল বা শিল্পী এভাবে মাসে অন্তত চার থেকে পাঁচটি অনুষ্ঠান পাচ্ছেন।
চলতি আর্থিক বছরে অন্যত্র লোক শিল্পীদের দল পাঠিয়ে শুধু মালদহেই পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে ৪১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। সরকারের এই উদ্যোগ নিশ্চিত আয়ের সুযোগ দিয়েছে লোকশিল্পীদের। বাঁচার রসদ পেয়েছেন তাঁরা।