গত শুক্রবার গণধর্ষণের শিকার হন দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া৷ ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবা এবং মা শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন৷ নিজেদের মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চান বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা৷
রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে নির্যাতিতার বাবা ঘটনার পর বলেছিলেন, বাংলার সরকারের কোনও সাহায্য চাই না৷ আমি শুধু বিচার চাই৷ পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন৷ এখানে কোনও নিরাপত্তা নেই৷ মেয়েকে ভুবনেশ্বর নিয়ে যেতে চাই৷
advertisement
ঘটনার পর থেকেই কার্যত দুর্গাপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি নেতাদের ঘেরাটোপে ছিলেন নির্যাতিতার বাবা৷ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও৷ মেয়ের উপরে নির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা৷ এ দিন দুপুরেও তিনি জানান, মেয়েকে নিয়ে ওড়িশায় ফিরে যেতে চান৷ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, আপনার সোনার বাংলা সোনার থাক, আমরা মেয়েকে নিয়ে ওড়িশায় ফিরে যেতে চাই৷
যদিও তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করে নির্যাতিতার বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, আমি মমতা দিদিকে মা বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি৷ ওদের মেয়ে হিসেবেই আমার মেয়েকে রেখে যাচ্ছি৷ আমাকে নিজের ছেলের মতো ভেবে ক্ষমা করে দিন৷ উনি যা ন্যায় দেবেন, তাতেই আমরা খুশি৷
নির্যাতিতার বাবার এই অবস্থান বদলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য প্রথম থেকেই বলেছিলেন, দুর্গাপুরের ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠী সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷