দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সহপাঠী ছাত্র। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে তার হয়ে সওয়াল করতে নারাজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। বুধবার ওই ছাত্রকে আদালতে হাজির করানো হয়। এর আগে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ অভিযুক্তের হয়েও আদালতে সওয়াল করতে চাননি ওই আদালতের আইনজীবীরা।
advertisement
দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত সাঁই বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য ধৃতদের হয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াবেন না।’
দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে ধৃত নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। কালিয়াচকের সিলামপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহালদারপাড়ায় রাস্তার ধারে এই দোতলাবাড়ি। তবে, বর্তমানে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য বাড়িতে নেই। ওয়াসিফের বৃদ্ধ দাদু থাকলেও সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে চাননি।
বাবা আনিসুর রহমান। ২০১৩ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে সিলামপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। একসময় বাড়ির নিচেই দোকানে হার্ডওয়ার ব্যবসা ছিল পরিবারের। বর্তমানে আম ও মাছের ব্যবসা করেন তিনি। পরিবারে দুই মেয়ে এক ছেলের মধ্যে মেজ সন্তান ওয়াসেফ। নিজের জমি বিক্রি করে একমাত্র ছেলেকে মোটা টাকা খরচ করে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন বাবা আনিসুর। ছোটবেলা থেকেই আবাসিক মিশনে পড়াশোনা। গ্রামের বাড়িতে বিশেষ যাতায়াত ছিল না ওয়াসেফের। গ্রামে এলেও কারও সঙ্গে বিশেষ মেলামেশাও করত না। তবে, তাকে যেটুকু দেখেছেন তাতে মেধাবী, ভদ্র, ভাল ছেলে হিসেবেই জানতেন প্রতিবেশীরা।
এদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, ওয়াসেফকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে তারা। পাশাপাশি আগেই ধৃত পাঁচ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে ফেলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর কমিশনারেট জানিয়েছিল, ‘নির্যাতিতা’র সহপাঠীও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন। তাঁকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিপি সুনীলকুমার চৌধুরীর এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই গ্রেফতার করা হয় সেই সহপাঠীকে।”