প্রায় ৭০ জন মহিলা নিজের প্রাপ্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এবং ৩০ জন প্রবীণ পুরুষ নিজের বার্ধক্য ভাতা দিয়ে একসঙ্গে এই মহোৎসবে হাত মিলিয়েছেন। অর্থের অভাব থাকলেও মনোভাবের দিক থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ সমৃদ্ধ। সমাজের প্রতিটি মানুষ তাঁদের সামান্য অবদান দিয়েই যেন গড়ে তুলেছেন এক অনন্য উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ বাস্তবের দশভূজা! সেই জন্মদাত্রী মা আজ অবহেলার শিকার! সমাজকে সচেতন করতে জামবনীর পুজোয় অভিনব থিম
advertisement
ক্লাব সম্পাদক অলকেশ বৈদ্য জানান, “সরকারি সাহায্য ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, এটাই আমাদের আশা। এই সহযোগিতাই আমাদের গ্রামীণ পুজোর প্রাণ।” এবারের পুজোর নেতৃত্বে রয়েছেন সভানেত্রী সুনিতা মৃধা, সম্পাদিকা সবিতা মৃধা এবং কোষাধ্যক্ষ জয়ন্তি মৃধা। তাঁদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং সরকারি সহায়তাকে সঙ্গে নিয়েই এবারের দুর্গোৎসব সুন্দরবনের বুকজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে এক নতুন বার্তা- ছোট ছোট সরকারি প্রকল্পের অর্থও মানুষের উৎসবকে মহোৎসবে পরিণত করে তুলতে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই আয়োজন ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। দূরদূরান্ত থেকে প্যান্ডেলে ভিড় জমছে। গ্রামীণ পরিবেশে মিলনমেলার আবহে রাতভর ঢাকের তালে মাতছেন গ্রামবাসী। এই পুজোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দোকানদার ও কারিগরেরা রোজগারেরও সুযোগ পেয়েছেন। সরকারি অনুদান ও মানুষের মিলিত প্রয়াসে সুন্দরবনের দুর্গোৎসব যেন উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক একতা ও সহমর্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।