কথিত আছে, জমিদার কেদার রায়চৌধুরীর হাত ধরেই এই পুজোর সূচনা। একসময় এখানে ছাগল বলি দেওয়ার রীতি ছিল, যা এখন প্রতীকী আকারে কুমড়ো বলিতে পরিণত হয়েছে। পুজোকে ঘিরে আজও স্থানীয় মানুষের আবেগ অটুট। টাকি ভ্রমণে আসা পর্যটকেরাও অবশ্যই ঘুরে যান এই ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদসম বাড়িটি দেখতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, স্বাধীনতার আগে ওপার বাংলার অসংখ্য মানুষ ইছামতী পেরিয়ে টাকিতে আসতেন শুধুমাত্র এই দুর্গাপূজা দেখার জন্য। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া সে পথ বন্ধ করে দিয়েছে, তবে স্মৃতিতে এখনও টিকে আছে সেই মেলবন্ধন।
advertisement
আরও পড়ুন : সাক্ষী বহতা আত্রেয়ী, বালুরঘাটে সাহাবাড়ির ঠাকুরদালানে ১৮৫ বছর ধরে পূজিতা দশভুজা
জেনারেল শঙ্কর রায়চৌধুরীর বাড়ির সঙ্গে রয়েছে একটি প্রাচীন ঠাকুরদালানও। এখানেই বংশপরম্পরায় কুমোররা প্রতিমা গড়ে আসছেন। দেবীর মূর্তি গড়া থেকে রং মাখানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ চলে কাপড়ের আড়ালে। পূর্ণ রূপে প্রতিমা দর্শন মেলে কেবল পঞ্চমীর দিন, আর সেখান থেকেই শুরু হয় জমকালো উৎসব। ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আবেগে ভরপুর টাকির এই পুজো শুধু একটি পরিবারের নয়, সমগ্র সীমান্ত শহরের গর্ব।