TRENDING:

১০৮ টি আকবরি মুদ্রায় তৈরি জয়পুরের সোনার দুর্গা, মূর্তি জুড়ে মণিমুক্তো-হিরের ঝলক

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#জয়পুর, পুরুলিয়া: একশো আট আকবরি মুদ্রায় তৈরি পুরুলিয়ার জয়পুর রাজবাড়ির দুর্গা। তিনশো ষাট দিন থাকে লকারে। মুক্তি মেলে পুজোর পাঁচদিন। ষষ্ঠী থেকে দশমী। রাজবাড়িতে রাজকীয় আপ্যায়ন। ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নজরদারির মধ্যেই বোধন, সন্ধিপুজো, বিসর্জন।
advertisement

পুরুলিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে জয়পুর। অতীত গরিমা কাঁধে কোনওরকমে দাঁড়িয়ে ভগ্নপ্রায় রাজবাড়ি। কালের থাবায় ভেঙে পড়েছে আভিজাত্য । কামান, তোপ, রাজসিক ঠাঁটবাট আজ অতীত। তবু রাজবাড়ির গর্ব সোনার দুর্গা।

কুমোরপাড়া থেকে নয়। উমা আসে ব্যাঙ্কের লকার থেকে । আগাগাগোড়া গিনি সোনায় তৈরি। শরীর জুড়ে বহুমূল্য মণি মুক্তো হিরের ঝলক। জয়পুর রাজবাড়িতে সোনার দুর্গার বসত। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সোনার দুর্গা ঘিরেই রাজকীয় আয়োজন।

advertisement

কথিত, ঔরঙ্গজেবের ভয়ে ১৬৬৬ সালে উজ্জ্বয়িনী থেকে পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে চলে আসেন রাজা জয় সিংহ। জঙ্গলমহলে তখন কোল, ভিল, মুন্ডাদের দাপট। যুদ্ধে তাদের হারিয়ে এলাকার দখল নেন জয় সিংহ। রাজার নামেই এলাকার নাম হয় গড় জয়পুর। মাটির মূর্তিতে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা। একবার প্রদীপের আগুনে পুড়ে যায় মূর্তি। রাজার বড় ছেলে কাশীনাথ সিংহ সতেরশো সত্তর সালে সোনার দুর্গায় পুজোর সিদ্ধান্ত নেন।

advertisement

দুর্গা মূর্তি গড়তে বেনারস থেকে আসেন দক্ষ কারিগররা। একশো আটটি আকবরি স্বর্ণমুদ্রা ও দামী মণিমুক্তো, হিরে-জহরত দিয়ে তৈরি হয় প্রতিমা। দু মণ রূপো দিয়ে তৈরি চালচিত্র। ১৯৬৯ সাল। একবার সোনার মূর্তি চুরির চেষ্টাও হয়। তারপর থেকে ব্যাঙ্কের লকারেই থাকে মূর্তি।

হারিয়ে গেছে অনেককিছু। তবু সন্ধিপুজোয় বন্দুক ফাটানোর নিয়ম বদলায়নি আজও। ষষ্ঠী থেকে দশমী। প্রতিমা পাহারায় হাজির পুলিশ ক্যাম্প। কড়া নজরদারিতে চলে দুর্গা আরাধনা। দামী দুর্গা বলে কথা।

advertisement

নিউজ 18 বাংলা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
১০৮ টি আকবরি মুদ্রায় তৈরি জয়পুরের সোনার দুর্গা, মূর্তি জুড়ে মণিমুক্তো-হিরের ঝলক