মুর্শিদাবাদের সালারের ক্যান্সার আক্রান্ত এক প্রৌঢ় 12 এপ্রিল সকালে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁকে ওই হাসপাতালের মেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। দুপুরে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেদিনই তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে সেখানে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরই তাঁর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন তার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের কোয়ারান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বাড়ির সদস্যদের হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
advertisement
শুধু ডাক্তার নার্স বা স্বাস্থ্য কর্মীরা নয়, কোয়ারান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অ্যাম্বুলান্স চালককেও। ওই অ্যাম্বুলান্স চালক আবার অনেকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাঁদের সকলকেই চোদ্দ দিন হোম কোয়ারান্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে রবিবার থেকেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মেল ওয়ার্ড স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন অন্যান্য চিকিৎসক নার্স, রোগী ও তাঁদের আত্মীয় পরিজন সকলেই।
