আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ডাক্তারি পড়ুয়ারা। ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হাসপাতালের দায়িত্ব সামলে সেদিনের ‘ডাক্তার দিদিমনির’ জন্য রীতিমতো চাপা কষ্টে মধ্যমগ্রাম মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। এই হাসপাতেলেই আরজিকর কাণ্ডে মৃত ডাক্তার তরুনী ২০১৯ থেকে কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনা শোনার পর থেকেই, মর্মাহত হাসপাতলে সেই সময়ে তাঁর সঙ্গে কাজ করা নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই ঘটনায় তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
advertisement
আর জি কর হাসপাতালের মত জায়গায় যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে! তবে কোন জায়গাই তো সুরক্ষিত নয় বলেই মত হাসপাতাল কর্মীদের। আর পাওয়া যাবে না ‘ডাক্তার দিদিমনির’ মতো মেয়ে। তার ব্যবহার, তার চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগীদের বোঝানো, তার জরুরী বিভাগে ডিউটি করার সময় কাজের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ কোনও কিছুই যেন ভুলতে পারছেন না একদা মৃতার সহকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ GK: নেই কোনও জাতীয় পশু! এমন দেশের নাম বলুন তো দেখি, উত্তর দিতে হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই
করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালেই সামলেছেন দায়িত্ব। সময়মত ডিউটিতে আসা, এমারজেন্সি তে ডিউটি, এবং সর্বশেষ আইসিইউতেও নিজের চিকিৎসার দক্ষতা দেখিয়েছেন ‘ডাক্তার দিদিমনি’। আর জি করে যোগ দেওয়ার আগের দিনও এখানেই ডিউটি করেছিলেন তিনি। ২০১৯ থেকে ২০২১ এই দীর্ঘ সময়ের সেই ‘ডাক্তার দিদিমনির’ স্মৃতি যেন বারবার ঘুরে ফিরে আসছে মধ্যমগ্রাম মাতৃ সদন হাসপাতালের সহকর্মীদের কাছে। অপরাধীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এখন এটুকুই চাইছেন সকলে।
Rudra Narayan Roy