এলাকার কচিকাঁচারা নিজেদের বাড়ির সামনে নিপুন হাতে তৈরি করেছে ছোটবড় নানান ধরনের ঘরকুন্ডা। কিন্তু জানেন কি এই ঘটকুণ্ডা আসলে কি? ঘর কুণ্ডা ” তথা দিওয়ালি ঘর হল মাটির তৈরি একটি খেলনা ঘর। মূলত অবাঙালিরা তথা হিন্দু হিন্দি ভাষীদের ধর্মীয় সংস্কৃতিতে ঘর কুণ্ডা তৈরি করা হয়। ওই সুসজ্জিত ঘরকুণ্ডায় দীপাবলির দিন প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালিয়ে পুজোর মাধ্যমে লক্ষ্মীদেবীকে আহ্বান জানান হয়। এই “ঘর কুণ্ডা” দীপাবলির সময় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়। বিশেষ করে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে দীপাবলির সময় ঐতিহ্যবাহী প্রথা হিসেবে তৈরি করা হয় এই ” ঘর কুণ্ডা “।
advertisement
আরও পড়ুন : এই ‘বিশেষ পোষাক’ পরলে চোখের সামনে হাজির হবেন মহাকালী, দেবীকে মনে হবে জীবন্ত! কী দিয়ে তৈরি হল জানেন?
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে হিন্দি ভাষী মানুষের বসবাস থাকায় তাঁরা দীপাবলির সময় নিজেদের বাড়িতে মাটি, ইঁট ও মাটির টালি দিয়ে নানান নকশার ছোটো বড় বাড়ি তৈরি করেন। ওই মাটির ঘরে দিওয়ালির দিন প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালিয়ে ফুল দিয়ে পুজো করেন৷ আবার অনেকেই লক্ষীদেবীর মূর্তি ঘর কুণ্ডায় রেখে খই মুড়কি, মঠ ইত্যাদি সহযোগে পুজো করেন। বাঙালিরা সব ধর্মের উৎসবে গা – ভাসিয়ে আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। তাই বাঙালি বাড়িতেও অনেক ছোটো ছোটো বাচ্চারা ঘর কুণ্ডা বানিয়ে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মূল উৎসবগুলি হল বাঁদনা, দাঁশায়, করম, সরহুল, বৈসাবি ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে দুর্গাপুরে ওই আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারাও আলোর উৎসবে মেতে ওঠেন। এলাকাবাসীরা জানান, এই এলাকায় প্রায় ৬৭ টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবার রয়েছে। প্রতিটি পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা নিজের হাতে ঘরকুণ্ডা তৈরি করে দীপাবলিতে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালানোর জন্য। দল বেঁধে কচিকাঁচারা ওই রাতে এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘরকুণ্ডা দর্শন করতে যায়। পাড়াজুড়ে আলোর উৎসব পালন করা হয়। আতসবাজি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে।