সূত্রের খবর, দেবব্রত পাল, একজন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বছর তিনেক আগেই তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হন। এরপর মেয়ে ও মা থাকতেন ফ্ল্যাটে। দু-দিন আগে মা ও মেয়ে পাশেই দাদার ফ্ল্যাটে যায়। অন্য দিকে দেবব্রত বাবুর পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত নাবালক। গতকাল নাবালকের বাড়িতে আসে তার এক বন্ধু। একাধিক বার দেবব্রত বাবুর ফ্ল্যাটে যাতায়াত করে দুই যুবক। আজ সকাল ৯ টা নাগাদ শেষবারের মতো ফ্ল্যাটের বাইরে আসতে দেখা যায়। সকল ৯ টার কিছু পর থেকে দেবব্রত বাবুর ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ আসে। এরপর সন্দেহ হতেই প্রতিবেশীরা তার দাদাকে খবর দেয়। দাদা এসে ডাকডাকি করলে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখেন, দেবব্রত বাবু দরজার সামনেই মেঝে পড়ে রয়েছে। ঘরের ভিতরে তখন দুই নাবালক ছিলেন। তাঁদেরকে আটক করে পুলিশ। নাবালকরা দুজনেই নেশাগ্রস্থ ছিল।
advertisement
তাঁদের কথায় একাধিক অসংগতি থাকায় তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে ফ্ল্যাটে বহিরাগদের প্রবেশ নিয়ে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অন্যান্য আবাসিকরা। খুনের সঠিক কারণ খুঁজতে দুই নাবালককে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রতিবেশী নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কোনো সমস্যা থাকতে পরে বলে প্রাথমিক সন্দেহ পুলিশের। তবে আবাসিক নাবালক তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিত খুন করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
