আরও পড়ুন : বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে আজ থেকে রাজ্যে শুরু বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন
সংস্কৃতির পীঠস্থান জয়নগর মজিলপুরে পণ্ডিত কানাইলাল ভট্টাচার্যের কণ্ঠে ২০০ বৎসর আগের রচনা দাশরথি রায়-এর পাঁচালি গান শোনা গেল । শ্রীরামচন্দ্রের অকালবোধন পালাগান পরিবেশিত হল। দাশরথি রায় ১৮৩৬ খ্রিষ্টাব্দে একটি পাঁচালির আখড়া স্থাপন করেন। তিনি প্রচলিত পাঁচালির রীতি ত্যাগ করে, কবি গানের মতো চাপান-উতোর ভঙ্গিতে পাঁচালিকে সাজান। একই সঙ্গে উৎকৃষ্ট ছড়া যুক্ত করেন। সাহিত্যিসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একবার বলেন, “দাশরথি রায় অনুপ্রাস জমকে বড় পটু, তাই তাঁর পাঁচালি লোকের এত প্রিয় ছিল। দাশরথি রায়ের কবিত্ব ছিল না, এমন নহে, কিন্তু অনুপ্রাস জমকের দৌরাত্ম্যে তাহা প্রায় একেবারে ঢাকা পড়িয়া গিয়াছে ; পাঁচালিওয়ালা ছাড়িয়া তিনি কবির শ্রেণীতে উঠিতে পারে নাই।” আজও গ্রাম বাংলার অনেক স্থানে লোকের মুখে মুখে দাশু রায়ের পাঁচালি গান শোনা যায়।এই সময় এসে দাঁড়িয়ে প্রায় লুপ্ত হওয়া কিছু প্রাচীন লোকধারা সবার সামনে তুলে ধরতে জিয়েল অ্যান্ড নোশন তাদের ‘শিল্প অভিযান’ এর মধ্যে দিয়ে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে আনল এই গান। তাঁদের এই প্রয়াসে খুশি এলাকার মানুষ।
advertisement