অন্যদিকে ভাল নেই রমনাবাগানের তিন চিতাবাঘও। চর্মরোগে আক্রান্ত ধ্রুব, কালি ও তাদের শাবক ছোটু। আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরেই এই চর্মরোগ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যের অন্যতম আকর্ষণ ছিল এই কুমিরগুলি। আগে এই মিনি জু-তে একটি মাত্র কুমর ছিল। এরপর আরও চারটি মিঠা জলের কুমিরকে বর্ধমানে আনা হয়। বর্ধমান জুলজিক্যাল পার্কে পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ কুমিরের মৃত্যু এবং একইসাথে তিনটি চিতা বাঘও চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ায় পার্কের বন্যপ্রাণ রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
advertisement
যদিও বর্ধমান বিভাগীয় বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা জানান, নিজেদের মধ্যেই লড়াইয়ের ফলে গুরুতরভাবে জখম পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ কুমিরটির চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে।অন্যদিকে,চর্মরোগে আক্রান্ত তিনটি চিতা বাঘের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুটি বাঘ সুস্থ হয়ে গেলেও কালি নামে একটি চিতা বাঘের বয়সজনিত কারণে সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগছে।
ইতিমধ্যেই মৃত কুমিরটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহাংশের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।তাছাড়াও সংক্রমণ রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
জুওলজিকাল পার্কের চিকিৎসক তপন কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, এনক্লোজারে মোট ৫টি মিষ্টি জলের মেছো কুমির ছিল। প্রকৃতিগতভাবে বন্যপশুরা বিভিন্ন কারণে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে থাকে। এইরকম মারামারিতেই পুর্ণবয়স্ক পুরুষ কুমিরটি গুরুতরভাবে জখম হয়।শরীরে গভীর ক্ষতের কারণেই চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে কলকাতার আঞ্চলিক পরীক্ষাগারের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গিয়েছে ওই এনক্লোজারে মোট পাঁচটি কুমীর ছিল। কয়েক মাস আগে সেখানে একটি পুরুষ কুমীরের ওপর অন্য এক কুমির হামলা চালায়। তারপর থেকেই তাকে অন্য জায়গায় রাখা হয়েছিল।