গ্রামের বাসীন্দা নিতীশ মণ্ডল, উদ্দীপ আলী মতো অনেকেই জানিয়েছেন, বর্ষা এলেই রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিতে হয়। কেউ ভরা কোটালের সময় নদীর গর্জন শুনে শিউরে ওঠে, আবার কেউ ঘর ছেড়ে অন্যের বারান্দায় আশ্রয় নেন। নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে নোনা জল ঢুকে ধান, মেছো ঘেরি, বাড়ি ঘর সব শেষ হয়ে যাবে, সেটা ভেবেই আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামের মানুষ।
advertisement
গত কয়েক বছরে আইলা, আমফান, বুলবুলের মতো ঝড়ে এই এলাকা কতবার জলে ডুবেছে, মানুষ কত সম্পদ হারিয়েছে, তার হিসেব নেই। তাই গ্রামের মানুষ চাইছেন, এবারের মতো যেন আর বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত না হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে এই বাঁধে সামান্য মেরামতির কাজ হলেও, স্থায়ী সমাধান করা হয়নি। সেচ দফতরের কাজ অনেক সময় বর্ষার ঠিক আগের মুহূর্তে শুরু হলেও অর্ধেক কাজ ফেলে রেখে চলে যায়। ফলে ভরা বর্ষায় নদীর চাপে বাঁধ আর ধরে রাখতে পারে না।
আরও পড়ুন: এক গাছে লুকিয়ে ৬৫ রকম রোগের দাওয়াই! লুকোনো ব্যথা-জ্বালা, গোপন রোগ সারাচ্ছে এই গাছ!
কয়েকজন মৎস্যজীবী জানিয়েছেন, বাঁধ ভেঙে গেলে নদীর নোনা জল মাছের ঘেরে ঢুকে পড়ে, সব মাছ মরে যায়। এভাবে ক্ষতি হতে হতে তারা দেনায় ডুবে গেছেন। অনেকেই শহরে গিয়ে দিনমজুরির কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্যান্ডেলার বিল পঞ্চায়েতের প্রধান পরিতোষ বিশ্বাস জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের তরফে নজরদারি চলছে। হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও এবং সেচ দফতরকে জানান হয়েছে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
তবে এলাকাবাসীর দাবি, শুধু নজরদারি নয়, দ্রুত বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হোক। তাদের আশঙ্কা, নদীর বাঁধের এই ভাঙন দ্রুত আটকান না গেলে বর্ষার মাঝপথে বিশাল অংশে বাঁধ ভেঙে গিয়ে জল গ্রামে ঢুকে যাবে। তখন উদ্ধার ত্রাণের উপর ভরসা করে বেঁচে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
জুলফিকার মোল্যা