তাই বর্ধমানের একটি দোকানে বানাচ্ছে গাজরের রসগোল্লা। চেখে দেখবেন নাকি?
ছানার সঙ্গে গাজর মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে হালকা গেরুয়া রঙের গাজরের রসগোল্লা। ইয়া বড় বড় সাইজের এই রসগোল্লার দাম দশ টাকা। স্বাদেও অতুলনীয়। এই রসগোল্লার স্বাদ নিতে আপনাকে যেতে হবে বর্ধমানের রানিগঞ্জ বাজার মোড়ে ভগবান মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে।
খাদ্য রসিকদের রসনা তৃপ্তির জন্য প্রতি বছর নতুন নতুন মিষ্টি তৈরি করে বর্ধমানের সুপ্রাচীন এই মিষ্টির দোকান। তাদের এবারের আকর্ষণ গাজরের রসগোল্লা। বাজারে আসার পর থেকেই তা খাদ্য রসিকদের কাছে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
advertisement
কিভাবে তৈরি হচ্ছে এই মন মাতানো গাজরের রসগোল্লা?
দোকানে দু-দশকেরও বেশি সময় কাজে যুক্ত কারিগর অসিত রায় জানালেন সেই রহস্য। গাজরকে প্রথমে মিহি করে কেটে তা ভাল করে সেদ্ধ করে নেওয়া হয়। এরপর তা বেটে নেওয়া হচ্ছে মোলায়েম করে। সবশেষে তা ছানার সঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে মেখে জল ও চিনির গরম রসে ফুটিয়ে তৈরি হচ্ছে গাজরের রসগোল্লা।
সাড়া ভালই। বলছেন দোকানের মালিক তাপস সেন। তিনি জানান, প্রতিদিন ৩০০ পিস রসগোল্লা তৈরি হয়। তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে নিমেষে। ক্রেতারা নতুনত্ব খোঁজে। স্বাদ বদল চায়। সেই চাহিদার কথা ভেবেই এই রসগোল্লা তৈরি করা হয়েছে। নতুনের স্বাদ অনেকেই নিতে চান। মিষ্টি হলে তো কথাই নেই। অনেকেই এই রসগোল্লা কিনছেন নিয়মিত। অনেকে আবার লোকমুখে শুনে গাজরের রসগোল্লা কিনতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
এখন গাজর তুলনামূলক সস্তা। সবজি হিসেবে রান্নাঘরে তার কদর বরাবরের। স্যালাডে তো শশা-পেঁয়াজের সঙ্গে গাজর মাস্ট। আবার গাজরের হালুয়া জিভে জল আনে। ফলে গাজরের রসগোল্লা যে সবাইকে পিছনে ফেলে দেবে, তা বলাই যায়।