শুক্রবার দোল, শনিবার হোলি। আজ শুক্রবার রংয়ের উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা দেশ তথা রাজ্য। তখন রাজবাড়ির শহর বর্ধমান রয়েছে আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক। দোল পূর্ণিমায় রং খেলেন না বর্ধমানের বাসিন্দারা। কারণ জানেন কী?
আরও পড়ুন: পুরনো বিবাদের বদলা, দোলের দিন রক্তাক্ত টিটাগড়! কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে খুন
গোটা রাজ্যের মানুষ যখন রংয়ের উৎসবে মাতোয়ারা তখন শুক্রবার আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকল বর্ধমান শহর। বর্ধমানে এদিন অনুষ্ঠিত হল রাজ কুলদেবতার দোল। বর্ধমান রাজবাড়ির লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে আবির মাখলেন রাধাগোবিন্দ জিউ। তাই দোলের দিন রং খেলেন না বর্ধমানবাসী। তাঁরা রঙের উৎসবে মেতে উঠবেন আজ, শনিবার। বর্ধমানে এই রীতি শতবর্ষ প্রাচীন। রাজা না থাক, রাজবাড়ির প্রথা রয়েছে পুরো মাত্রায়।
advertisement
দোল পূর্ণিমার দিনই রং খেলায় মেতে ওঠেন রাজ্যবাসী। বর্ধমানের চিত্রটা সেখানে একটু অন্য রকম। শুক্রবার বর্ধমানের পথ ঘাট আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকে। বর্ধমানে দোল পূর্ণিমার পরের দিন পালন করা হয় দোল। পরের দিনই বর্ধমানবাসী মেতে ওঠেন রং খেলার আনন্দে। বর্ধমান মহারাজার সময় থেকেই চলে আসছে এই রেওয়াজ।
রাজবাড়িতে রাধাগোবিন্দ জিউয়ের পুজো হতো দোলের দিন। সারাদিন পুজোর পরে আর রং খেলার সময় পাওয়া যেত না। সন্ধ্যা নেমে যেত। তাই তখন একটা উপায় বার করা হয়েছিল। পরের দিন তো আর পুজোর ব্যস্ততা থাকবে না, তাই সেদিনই তাহলে রং খেলা হোক। সেই থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। রাজ নির্দেশেই বর্ধমানে দোল পূর্ণিমার দিনে খেলা হয় না রং। বরং তার পরের দিনই রং খেলার আনন্দে মাতেন আপামর বর্ধমানবাসী। সেই ঐতিহ্য আজও বহমান।
মহারাজ মহাতাব চাঁদের সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। দোল পূর্ণিমায় কুল দেবতারা দোল খেলেন। দেবতাদের পায়ে আবির দেওয়া হয়। আগে দোল উপলক্ষে ভিয়েন বসতো। লুচি, মালপোয়া তৈরি হতো। অগণিত প্রজার মধ্যে সেই ভোগ বিলি করা হতো। এখন সেই আড়ম্বর নেই। তবে এখনও সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদনের পর দর্শনার্থীদের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়।