গৃহবধূ সবিতা কর সকালে বাথরুমে গিয়ে দেখেন বালতির ভিতর একটি সাপ, সাপটির গায়ের রঙ কালো উপর সাদাটে ডোরা কাটা দাগ। এই সাপ দেখতে অনেকটা ঘর চিতির মত। পড়ে জানা জয় এটি বিষধর কালাচ সাপ।
গরম বা বর্ষার সময় গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সাপ বেশি দেখা যায়। এই সময় নানা ভাবে সাপের সংস্পর্শে এলে কামড়ের আশঙ্কা থাকে। সাপ আত্মরক্ষার তাগিদেই কামড় দেয় সাধারণত। বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু ঘটে। তবে সতর্ক এবং সচেতন থাকলে সাপ কামড়ে থেকে মৃত্যু এড়ানো যায়। তার জন্য প্রয়োজন সাপ কামড় সম্পর্কে সঠিক ধারণা বা সচেতনতা। গ্রাম অঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা থাকার ফলে সাপ কামড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ে৷
advertisement
আরও পড়ুন – KKR Team News: তারকা ক্রিকেটারের চোট নিয়ে ধোঁয়াশায় অধিনায়ক শ্রেয়স, এবার রাখঢাক সরিয়ে দিলেন গৌতম গম্ভীর
বিষধর সাপ দেখলেই কিছু মানুষ যারা সাপের উপর লাঠি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ কেড়ে নেয়। কিন্তু এখানে সাপটি দেখে পরিবেশ প্রেমী পলাশ প্রধানকে জানানহয়। সেই খবর যায়, হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী চিত্রক প্রামানিক ও সুমন্ত দাস এর কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষধর কালাচ সাপ টি উদ্ধার করতে। উদ্ধারের পর গভীর জঙ্গলে সাপটি মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ কর্মী চিত্রক প্রামাণিক জানান, মানুষের মধ্যে সঠিক ধারণা প্রয়োজন। তাতে একদিকে যেমন সাপের প্রাণ বাঁচান সম্ভব হবে, তেমনি সাপের কামড় থেকেও প্রাণ রক্ষা হবে মানুষের।
Rakesh Maity