একটা সময় ছিল যখন ডেকে হেঁকেও ভ্যাকসিন দেওয়ার লোক পাওয়া যায়নি। আর এখন অনেকের কাছেই ভ্যাকসিন অধরা। দিন রাত চোখ রেখে চলেছেন কো-উইন অ্যাপে। ফাস্ট ডোজ পাওয়া যেন লটারি পাওয়ার সামিল। এই পরিস্থিতিতে এখন দিনে দু হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষমাত্রা নিয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ। এখানে ৮টি শিবিরে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ফাস্ট ও সেকেন্ড ডোজ দেওয়া হচ্ছে। চিন্তামুক্ত মনে শান্ত পরিবেশে যাতে পুরুষ-মহিলারা ভ্যাকসিন নিতে পারেন সে ব্যাপারে এখানে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন কেন্দ্রে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দারা থাকছেন রাবীন্দ্রিক পরিবেশে। বাজছে শ্রুতি মধুর রবীন্দ্রসঙ্গীত। অপেক্ষা করা ও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বিশ্রামের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বসার আসন, ঠান্ডা পরিবেশ। স্বাভাবিকভাবেই খুশি ভ্যাকসিন নিতে আসা সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ পল্লীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাউল গান! দুয়ারে সরকারের অভিনব প্রচার শুরু
বর্ধমান মেডিকেলের ভ্যাকসিন কর্মসূচি কেন্দ্রের উপদেষ্টা সুব্রত সেন বললেন, "এমনিতেই মেডিকেল সেন্টারে যাওয়ার কথা ভাবলেই সকলের অবচেতন মনে একটা ভীতি তৈরি হয়। ইঞ্জেকশন নিতেও অনেকে ভয় পান। টেনশন হয়। তাই টেনশন ফ্রি পরিবেশ তৈরির উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি আমরা।" বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, "করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই যত বেশি সম্ভব বাসিন্দাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে সবাই ভয়শূন্য মনে ভালো থাকার সঙ্কল্প নিয়ে বাড়ি ফিরুক, সেই ভাবনা থেকেই এই পরিবেশ রচনা।"
আরও পড়ুন: হার্ট ভাল রাখে, কমায় রক্তচাপ; শরীর ভাল রাখতে নারকেলের জুড়ি মেলা ভার
বয়স্কদের অনেকেই সংবাদ মাধ্যমে ভ্যাকসিন সেন্টারের অব্যবস্থা, অপেক্ষা, অনিয়মের ছবি দেখছেন নিয়মিত। সেই ভীতি নিয়ে বর্ধমান মেডিকেলে এসে এখানের পরিবেশে আপ্লুত তাঁরা। একটু সদিচ্ছায় যে অনেকটা বদল সম্ভব তা দেখাচ্ছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ। এমনই বলছেন ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষ।
Saradindu Ghosh