অভিযোগ পুলিশ তাদের কাছ থেকে নাকি মাসিক টাকা নিত। এ বছর গত চার মাসের মধ্যে তিনবার বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ হল। এ পর্যন্ত মোট ২৩ জন মারা গেল। এখানেও পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ।
পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর জায়গা রয়েছে যেখানে বাড়িতে বাড়িতে বাজি তৈরি হয়। সেইসব এলাকায় বাজি তৈরি হয় কুটির শিল্পের মতই। অভিযোগ ওই সমস্ত অবৈধ বাজি কারখানার মদতে রয়েছে এক শ্রেণীর পুলিশ । এগরায় ভানু বাগ প্রভাবশালী বাজি বিক্রেতা ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন – Knowledge Story: প্রতি মাসেই ইএমআই গুনছেন! EMI-র ফুলফর্ম ৯০ শতাংশ মানুষই ভুল জানেন
তার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়ে ১১ জন মারা যায়। প্রশ্ন উঠেছিল,কিভাবে এত পরিমাণে বারুদ মজুত করে রেখেছিল। ১৬ মে এগরায় এত ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ২১ মে বজবজের বাজির কারখানায় আবার বিস্ফোরণ হয়। সেখানেও তিনজন মারা যায়।
এত কিছুর পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে সরাসরি বাজি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশকে। সে সময় পুলিশ ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ করে কিছু কিছু বাজি একত্রে জড়ো করে বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই বাজেয়াপ্ত বাজির নমুনা বারাসাতে নীলগঞ্জে মোচপোলে গ্রামে দেখা গেল। বিস্ফোরণে মানুষের শরীরগুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল।
এখানেও গ্রামবাসীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছে পুলিশের দিকে।পুলিশ নিয়ম করে ওই অবৈধ বাজি কারখানা গুলো থেকে মাসিক টাকা নিয়ে যেত। প্রতিটি জায়গায় দুষ্কর্মের পেছনে পুলিশের ‘ডাক মাস্টার’ বলে একটি ব্যক্তি থেকে থাকে। যারা থানায় টাকা যোগান দেয়। অনেকেই বলছেন,পুলিশ টাকা নিয়ে অবৈধ বাজি কারখানা চালাতে দিয়েছে। আর সেই টাকার জন্যই এতগুলো আধপেটা মানুষগুলির প্রাণ অকালে চলে গেল৷ পুলিশ নিয়ে মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি অবিশ্বাস জন্মাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
Shanku Santra