তবে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার সেই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেড়েছে। কয়েক হাজার পূণ্যার্থী এদিন সকাল থেকে হাজির হন ওই মন্দিরে। সকাল সকাল শুশুনিয়া থেকে পাহাড়ি ঝর্ণার পবিত্র জল, কেউ আবার বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরের পাশে বয়ে চলা দ্বারকেশ্বর নদীর জল, কেউ আবার গন্ধেশ্বরী জল বাঁকে নিয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে এক্যেড়া গ্রামের চতুর্দশ শিবলিঙ্গ শিব মন্দিরে পৌঁছেছেন। ওই জল মহেশ্বরকে অর্পণের পাশাপাশি চলে পুজোপাঠ।
advertisement
আরও পড়ুন : দিনে বাইক নিয়ে কেরামতি, রাতে সবার আড়ালে চলে অন্যকাজ! যুবকের কাণ্ড দেখলে মাথা ঘুরবে
প্রাচীন এই শিব মন্দির ঠিক কত বছরের পুরনো, সঠিকভাবে তা বলতে পারেন না কেউই। বংশ পরম্পরায় একইভাবে পুজো হয়ে আসছে দেবাদিদেব মহাদেবের। প্রতিবছরই শ্রাবণ মাস এলেই, চৌদ্দ শিব লিঙ্গের মন্দিরে জেলা সহ বাইরের প্রচুর মানুষ জল, দুধ, ঘি, মধু সহকারে পুজো দিতে আসেন।
আরও পড়ুন : কন্যাশ্রীদের স্বপ্নের যাত্রা আরও সহজ হল ! মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ধরল ভবিষ্যতের হাল
ভক্তদের বিশ্বাস, প্রাচীন এই মন্দিরে মহাদেব ভীষণ জাগ্রত। সকলের মনোকামনা পূর্ণ করেন। চতুর্দশ শিবলিঙ্গ ঘিরে মানুষের আগ্রহও ব্যাপক। ভক্তদের মনে, এই মন্দিরের মহাদেব এতটাই জাগ্রত, যে তাঁর নাম স্মরণ করে খালি পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে কষ্ট সেভাবে হয় না পুণ্যার্থীদের। প্রচুর মানুষের ভিড় হয় মন্দিরে। সন্তান সহ পরিবারের সকলের সুখ ও সমৃদ্ধির প্রার্থণা কামনা করেন পূণ্যার্থীরা।
