স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় দরবার করে কয়েকমাস পেরিয়েছে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। এখনও এগিয়ে আসেনি কোনও পশুপ্রেমি সংগঠনও। ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। রাস্তায় বেরতেই হবে, তাই সকলের সঙ্গী বিরাট লাঠি। প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে লাঠি হাতে ভয়ে ভয়ে।
আরও পড়ুনঃ বয়স ১০২! হাটে সবজি বেচেন কোলাঘাটের লক্ষ্মীবালা, না দেখলে বিশ্বাস হবে না আপনার
advertisement
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এলাকার বেশ কয়েকজনকে কামড়েছে হিংস্র কুকুর দুটি। সম্প্রতি এক মহিলার হাতে কামড়ে মাংস তুলে নিয়েছে। বাদ যায়নি স্থানীয় এলাকায় পড়তে আসা এক ছাত্রও। শিক্ষকের কাছে পড়তে এসে রক্তান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে কুকুরের কামড়ে। আতঙ্কে পড়ুয়ারা শিক্ষকের বাড়িতে আসতে ভয় পাচ্ছে, অভিভাবকেরাও আতঙ্কিত। গত কয়েকদিনে প্রায় চার-পাঁচ জনকে কামড়েছে স্থানীয় কুকুরগুলি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে পর্যন্ত সব স্বাভাবিক থাকলেও, বেশ কিছুদিন ধরে লোক দেখলেই তাড়া করছে কুকুর দুটি, অতর্কিতে করছে আক্রমণ। বাদ যাচ্ছে না কেউ। যাঁদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে, তারাও ছাড় পাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিও এখনও মেলেনি কোনও সমাধান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অবশ্য জানিয়েছেন, 'অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু কিছুই করার নেই। বিষয়টি নিয়ে অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব। স্থানীয় এক পশু চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধেরও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।'
পুরসভায় কুকুর ধরার কোনও দল না থাকায় এলাকায় নানা জায়গায় এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে বলেই জানান স্থানীয়রা। শুধু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নয়, অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কুকুর আতঙ্ক রয়েছে। ফলে রাতবিরেতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তৈরি হয় চরম সমস্যা হয়, পড়তে হয় আক্রমণের মুখে। কী ভাবে মিলবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি? উত্তরের অপেক্ষায় পুরসভার দিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী।
Rudra Narayan Roy