হোটেলের সমস্ত কাগজপত্র থেকে দেখা থেকে শুরু করে হোটেলের পানশালা এবং অন্যান্য পরিষেবা কেমন চলছে বা সেখানে কোনও আইনি ফাঁক ফোঁকর রয়েছে কিনা সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখা হয়। যদিও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা, কেন এই অভিযান তা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি। তারা রুটিন চেকআপ বলে বিষয়টিকে পাশ কাটিয়েছিলেন।
advertisement
কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যেহেতু কয়েকদিন আগে আসানসোলে র্যালি এবং জনসভা করতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তিনি বেশ কিছুক্ষণ সময়ের জন্য গ্র্যান্ড হোটেলে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তৃণমূলের চক্ষুশুল হওয়ার কারণেই গ্র্যান্ড হোটেলে আচমকা অভিযান চালানো হয়েছে তাদের প্যাঁচে ফেলতে।
যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নন তৃণমূল নেতারা৷ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক শিবদাশন দাশু জানিয়েছেন, ”কী কারণে অভিযান সেটা প্রশাসন বলতে পারবে। তবে বিজেপির কাছে আর যেহেতু কোন ইস্যু নেই, তাই তারা প্রশাসনিক এই অভিযানকে ইস্যু বানাতে চাইছে। আমরা জানি ব্যবসায়ীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না। তারা শুধুই ব্যবসা বোঝে। তাই এই হোটেল গুলোর সঙ্গে কোন রাজনীতির যোগ আছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে না।”