জনসংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে পানীয় জলের চাহিদা। মাটির তলার জল তুলে তা শহরের সব বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারছে না বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। শহরের জলের চাহিদা মেটাতে নদী থেকে জল তুলে তা বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বর্ধমান পৌরসভা।
advertisement
বর্ধমান শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর। সেখান থেকে জল তুলে পরিশ্রুত করে তা বর্ধমান শহরের বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেজন্য দুশো কোটি টাকা খরচ ধরে তিন বছর আগে কাজ শুরু হয়। মাটির তলার পাইপ বসানো সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরিতে ইতিমধ্যেই একশো কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সারা বছরের প্রয়োজনের জল দামোদর থেকে মিলবে কিনা তা নিয়ে এখন সংশয় দেখা দিয়েছে। বর্ষার সময়টুকু ছাড়া প্রতিদিনের চাহিদামত জল দামোদর থেকে মিলবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাই এখন ষাট কিলোমিটার দূরের কালনা বা কাটোয়া থেকে গঙ্গার জল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সেখানে জল পরিশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে এত দূরে জল পাঠাতে বেশ কয়েকটি বুষ্টিং স্টেশন তৈরি করতে হবে। শুধু তাই নয়, জলের পাইপ লাইন নিয়ে আসার জন্য জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তার ওপর পাইপ লাইন ফুটো করে জল চুরির আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রকল্প খরচ বাড়বে অনেকটাই। আবার বাড়তি খরচের দায়ভার বর্ধমান পৌরসভার ওপর চাপবে। সেই খরচ পৌরসভা সামলাতে পারবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সব মিলিয়ে বর্ধমানবাসীর স্বপ্নের জল প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
Saradindu Ghosh