এদিকে, মঙ্গলবার সকালে কাঁকসার দেউল এলাকার জঙ্গল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে কাঁকসা থানার পুলিশ।
স্থানীয়রা সেগুলি দেখতে পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কে বা কারা ওই জিনিসগুলি রেখে গেছে, তা কারোর জানা নেই। তবে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্যই দুষ্কৃতীদের বড়সড় কোনো পরিকল্পনা ছিল বলে অনুমান স্থানীয়দের। সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ সেগুলিকে উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ।
advertisement
অপরদিকে, আমবাগানের মধ্যে বাঁশের ঝাড়ে ১৭টি তাজা বোমা উদ্ধার। গ্রেফতার এক জন। ধৃতের নাম জয় ঘোষ। বাড়ি ফরাক্কার হাজারপুর গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ফরাক্কার শংকরপুর মোরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুরোনা অভিযোগের ভিত্তিতে ফরাক্কা থানার পুলিশ জয় ঘোষকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশ জানতে পারে এলাকাতে ঝামেলা পাকানোর জন্য বেশ কিছু তাজা বোম সে একটি বাগানের ভেতরে মজুত রেখেছিল।
আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের মাঝেই প্রবল বিপদে অনুব্রত মণ্ডল, হাইকোর্টে বড় ধাক্কা! কী ঘটল?
ফারাক্কা থানার পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে পুলিশ নাইলনের ব্যাগের মধ্যে থেকে তাজা বোম গুলো উদ্ধার করে। আসামির কথায় ওই ব্যাগে মোট ১৭ টি তাজা বোমা ছিল। ফরাক্কার শঙ্করপুরে ৩৪ নাম্বার জাতীয় সড়কের ধারে থেকে প্রায় ২০০/৩০০ মিটার দুরত্বেই এই ঘটনাস্থল। ফারাক্কা থানার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই জয় ঘোষকে ফারাক্কা থানার পুলিশ বেশ কিছুদিন ধরেই খোঁজাখুঁজি করছিল। একটি পুরনো কেসের অভিযুক্ত ছিল এই জয় ঘোষ।
আরও পড়ুন: 'যারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন, তাঁরাই হারবেন!' ফিরহাদের কটাক্ষের নিশানায় কারা?
আবার আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুরুলিয়ার জয়পুর থানার পুলিশ। ধৃতদের বাড়ি ঝাড়খন্ডের চন্দ্রপুরা থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানায় নাকা তল্লাশি চালানোর সময় ঝাড়খণ্ড থেকে আসা একটি মোটর সাইকেলে তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার করা হয় ১টি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি। ধৃতদের আজ পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হবে। ব্যবহার করা মোটর সাইকেলটি আটক করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো অতি সক্রিয় পুলিশ প্রশাসন সোমবার গভীর রাতে শাসন থানার পুলিশ দু'জায়গায় হানা দিয়ে দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে একটি অত্যাধুনিক রাইফেল ও একটি নাইন এমএম পিস্তল সহ তিনটি কার্তুজ একটি চার্জার উদ্ধার করে খড়িবাড়ি চৌমহা এলাকা থেকে দুই দুষ্কৃতী মহিবুল বৈদ্য আজগার আলি মল্লা নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে খড়িবাড়ি চৌমহা এলাকা থেকে। এর আগেও একাধিক অসামাজিক কাজের জন্য যুক্ত ছিল এই দুই দুষ্কৃতী। তাদের বারাসত আদালতে তোলা হবে পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অন্তর্গত ১৪ থানার মধ্যে ৫ দিনে ২৫ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর তৎপর সমস্ত জেলা পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ মধ্যে ১৪ থানা থেকে মোট ২৫ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এছাড়াও ৪০ রাউণ্ড কার্তুজ। বিষ্ণুপুর থানায় রসপুঞ্জ মোল্লা পাড়া থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে তাদের কাছে থেকে উদ্ধার হয় ৪ কেজি গান পাউডার, একটি সেভেন এমএম পিস্তল, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ, এছাড়াও সাতটি ওয়ান শার্টার পিস্তল। ওয়ান শার্টারের ২৬ রাউণ্ড কার্তুজ, এছাড়াও বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম।