বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় শপিং মলের আদলে সরকারি উদ্যোগে অত্যাধুনিক ৮ তলা মার্কেটিং হাব তৈরি হবে। শহরের ভগৎ সিং মোড় থেকে জয়পুর যাওয়ার রাস্তার ধারে পুরনো প্রস্তাবিত বাসস্ট্যান্ডের জায়গায় এই হাব নির্মিত হবে। বিষ্ণুপুর পুরসভা জমি চিহ্নিত করে দিয়েছে। সম্প্রতি একটি সংস্থা হাব তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জানা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ওই হাবের শিলান্যাস করবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২ বছর ধরে বন্ধ! অবশেষে কি খুলতে চলেছে বর্ধমান তারামণ্ডল, মন ভাল করা আপডেটে আশার আলো দেখছেন অনেকে
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের উদ্যোগে গোটা রাজ্যে ১৪টি জেলায় মোট ১৫টি করে মার্কেটিং হাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বিষ্ণুপুরে একটি রয়েছে। অত্যাধুনিক শপিং মলের আদলে তৈরি মার্কেটিং হাবে মোট ৮টি তলা থাকবে। আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং জোন থাকবে। গ্রাউন্ড ফ্লোর সহ পরপর চারটি তলায় বিভিন্ন দোকান থাকবে। তাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং হস্তশিল্পীদের জন্য যেমন বহু স্টল তৈরি হবে। তেমনই খাবারের দোকান, খুচরো পণ্যের শোরুম, রেস্তোরাঁ, হাইপার মার্কেট, ব্যাঙ্ক, এটিএম, অফিস তৈরি করা যাবে।
চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলে হোটেল থাকবে। সপ্তম ও অষ্টম তলে থাকবে মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল। কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নতুন ওই মার্কেটিং হাব তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে।
এদিন বিষ্ণুপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় দু’নম্বর রাজ্য সড়কের পাশে মার্কেটিং হাব তৈরি করার জন্য বরাত পাওয়ার সংস্থার হাতে এক একর জায়গা তুলে দেওয়া হয়। সেই জায়গা তুলে দিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক। জায়গা হাতে পাওয়ার পরেই কাজ শুরু করে বরাত পাওয়া সংস্থা।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, রাজ্য সরকারের WBSIDC দফতরের জন্য বিষ্ণুপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি এক একর জায়গা চিহ্নিতকরণ করা হয়েছিল। যেখানে পিপিপি মডেলে এস এইচ জি এবং আর্টিজানদের একটি মার্কেটিং হাব তৈরি করা হবে। তিনি আরও জানান, বিষ্ণুপুরের পর্যটক মানচিত্রকে আরও উন্নততর করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, দুর্গাপুজো বা অন্যান্য সময় ভালো ব্র্যান্ডের কিছু কিনতে হলে দুর্গাপুর বা কলকাতা যেতে হত। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিষ্ণুপুরেই তা পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গেই পর্যটকদের জন্য বিনোদনের ও কেনাকাটার একটা জায়গা হবে।
