ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন রাহুল সিনহা। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর পর রাহুল বলেছিলেন, 'চার জন নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উচিৎ ছিল আট জনকে গুলি করে মারা।' সেই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়েছিল রাজ্যে। নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রচারে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল। যদিও সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কখনও তিনি নিজের প্রচারের সভামঞ্চের নীচেই ঠায় বসেছিলেন, কখনও আবার ব্যাগ হাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাজারে। যদিও সেসবের যুক্তিও দিয়েছিলেন তিনি।
advertisement
সেই রাহুলকেই এবার জেতাতে মরিয়া বিজেপি। যদিও বিজেপির অন্দরের অনেকেই রাহুলের এবারের জয় নিয়েও সন্দিহান। এমনকী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বারবার দাবি করে চলেছেন, হেসেখেলে অন্ততপক্ষে ৫০ হাজার ভোটে রাহুল সিনহাকে হারাবেনই। এমত অবস্থায় এবারের রাহুলের জন্য আসরে স্বয়ং অমিত শাহ।
ইতিমধ্যেই রাহুলকে জেতানোর আহ্বান জানিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ভুবনেশ্বরের জেল দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বারবার দাবি করেছেন, জিতছেন রাহুল সিনহাই। আর হুঙ্কার ছেড়েছেন, হাবড়া, বারাসাতের ছোট-মাঝারি দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের এরপর ঠাঁই হবে বারাসাত জেল, আর জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকদের মতো 'বড়' নেতাদের তাঁরা ভুবনেশ্বরের জেল দেখাবেন।
দুটো বড় নির্বাচনে প্রার্থী হয় গোহারা হেরেছেন রাহুল সিনহা। এবার তিনি হারের হ্যাটট্রিকের সামনে। আবার প্রথম বড় জয়ের সামনেও। তাই তাঁকে জেতাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। কিন্তু আদৌ কি রাহুলের ভোট ভাগ্য বদলে দেবে হাবড়াবাসী, উত্তর মিলবে ২ মে।