আজ ৩ ডিসেম্বরেই শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিতে সভা করবেন অভিষেক৷ এর আগে হলদিয়ায় সভা করেছেন অভিষেক৷ ভোটের আগে কাঁথিতে সভা করেছিলেন৷ এ বার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে সভা করতে চলেছেন অভিষেক৷
আরও পড়ুন: পরেশ রাওয়ালের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তৃণমূল কংগ্রেসের
কাঁথি শুভেন্দুর নিজের এলাকা, একে অধিকারী গড়ও বলা হয়৷ যদিও ‘অধিকারী গড়’ শব্দবন্ধ মানতে চায় না তৃণমূল৷ তৃণমূলের লক্ষ্য এখন নিজের গড়েই শুভেন্দু অধিকারীকে কোণঠাসা করা৷ সেই লক্ষ্যেই এ বার দলীয় নেতা কুণাল ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল৷
advertisement
গত মাসেই ঘোষণা করা হয়েছে, পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরসভার নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলায় দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাবেন কুণাল ঘোষ৷ ইতিমধ্যেই হলদিয়ায় থেকে তাঁকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে, আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে এ বার সবদিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরকে ঘিরে ধরতে চাইছে ঘাসফুল শিবির৷ এক দিকে সংগঠনে কুণালের মতো পোড় খাওয়া রাজনীতিক ও অন্য দিকে অভিষেকের সরাসরি চ্যালেঞ্জ৷
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থলে 'তাণ্ডব' চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
কাঁথির মতো এলাকায় অভিষেকের সভা তাই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট৷ বাংলার গ্রামের মানুষের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে রাজ্যজুড়ে ‘চলো, গ্রামে যাই’ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল৷ গোটা রাজ্যজুড়েই একাধিক কর্মসূচি রয়েছে৷ কিন্তু ভোটের প্রচারের শুরুটা পূর্ব মেদিনীপুরে করার মাধ্যমে একটা বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল৷ একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর গড়েই অভিষেকের সভা আসলে সেই সমানে সমানে লড়াইয়েরই বার্তা৷
এ দিন কাঁথি বেছে নেওয়ার কারণ সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ জানানো। কারণ বিরোধী দলনেতা নানা ইস্যুতেই রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই পাল্টা আজ শুভেন্দুর পাড়ায় দাঁড়িয়ে অভিষেক কী রাজনৈতিক আক্রমণ শানান, সেদিকেই নজর সবার।