রবিবার দলের বৈঠকে অভিষেক বলেন, “দলের প্রচার থেকে নিজস্ব প্রচার বেশি হচ্ছে। ইগো লড়াই চলছে। আমি ওকে জানাব, তাঁকে জানাব না, এমন ঘটনা ঘটছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না থাকলেও ইগো আছে। সেই ইগো ঝেড়ে ফেলুন। সবাই আমরা দলের কর্মী, এটা মাথায় রেখে কাজ করুন।”
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই কাঁপিয়ে ঝড়-বৃষ্টি কলকাতা-সহ ১৪ জেলায়…! হলুদ সতর্কতা জারি! আবহাওয়ার বড় আপডেট
advertisement
এখানেই শেষ নয়, রীতিমতো নাম ধরে দায়িত্ব বেধে দেন। অভিষেক স্থানীয় নেতাদের নাম করেই নির্দেশ দেন,”নারায়ণগরের দিকে সূর্য আরেকটু নজর দাও। অজিত, দীনেন, মানস, সুজয়কে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। নারায়ণগড়, খড়গপুর, মোহনপুর, দাঁতন, শালবনী, মোহনপুর ব্লকে সংগঠনে নজর দিতে হবে। চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।”
আরও পড়ুন: কোন বয়সে ‘কতক্ষণ’ ঘুমাবেন? বয়স অনুযায়ী ঠিক কতটা ঘুম ‘পারফেক্ট’? দেখে নিন তালিকা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই যে দলের অন্দরের মতানৈক্য নিয়ে সতর্ক তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড, তা কার্যত স্পষ্ট ছিল এদিনের দলীয় বৈঠকে অভিষেকের বার্তায়। এদিকে, বাঁকুড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর শেষ হতেই হল সাংগঠনিক রদবদল। অভিষেকের নির্দেশেই বদলানো হল চার অঞ্চল সভাপতিকে।
যদিও কারণ নিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়ায় নবজোয়ার কর্মসূচির পরেই একাধিক ব্লকের অঞ্চল সভাপতির পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তন করা হয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতেই, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে বেশ কিছু ব্লক সভাপতির অঞ্চল সভাপতিদের পরিবর্তন নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছিল।
একাধিক ব্লকের ব্লক তৃণমূল সভাপতিরা তাদের নিজেদের অঞ্চলের বেশ কিছু অঞ্চল সভাপতির পরিবর্তনের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু তা মেনে নেননি জেলা সভাপতি। বাঁকুড়ায় নবজোয়ার যাত্রায় এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কিছু কিছু অঞ্চল সভাপতির বদলের আবেদন করেন বেশ কয়েকজন ব্লক সভাপতি।