রবিবার সকালে গড়িয়াহাট থেকে ১৬জন কুলপিতে পিকনিক করতে যায়। নিশ্চিন্তাপুরে হুগলি নদীর তীরে চলছিল খাওয়া-দাওয়া। বিকেলে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান সুরেশ সিংহ, টোকন হালদার, প্রসেনজিৎ দাস ও শুভঙ্কর নাড়ুয়া। স্থানীয়দের সঙ্গে উদ্ধারে হাত লাগান মৎস্যজীবীরা। উদ্ধার হয় সুরেশ, টোকন ও প্রসেনজিতের দেহ। খোঁজ মেলেনি শুভঙ্করের।
সোমবার সকালে ফের শুরু হয় তল্লাশি। তল্লাশিতে হাত লাগায় এনডিআরএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ডুবুরি নামিয়ে চলে তল্লাশি। পাড়ে অধীর অপেক্ষায় থাকেন শুভঙ্করের বাবা।
advertisement
তিনটি গাড়িতে ষোলজন বন্ধু। তিনটি গাড়িই আদতে অ্যাপ ক্যাব। ষোলজনের মধ্যে অনেকেই অ্যাপ ক্যাবের চালক। প্রায়ই গাড়ি নিয়ে পিকনিকে যেতেন তাঁরা। বাড়িতেও সকলে জানতেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি কুলপির পিকনিকি কেড়ে নেবে কয়েকটা জীবন। রবিবার বিকেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের। তখন থেকে শোকস্তব্ধ গড়িয়াহাটের পন্ডিতিয়া রোড সংলগ্ন এলাকা। পুরুষরা প্রায় কেউ নেই। সকলেই কুলপিতে। ঘরে ঘরে কান্নার রোল। কি হল, কি করে হল, বুঝেই উঠতে পারছেন না কেউ।
প্রতিবারের মতই ছেলেরা পিকনিক শেষে ঘরে ফিরছে। কেউ জীবিত। কেউ নিথর। আর কী পিকনিকের কথা ভাবতে পারবে পন্ডিতিয়া রোডের এক চিলতে এই বস্তি?
আরও পড়ুন-অভিনব বৌভাত ! অনুষ্ঠানের দিন বাড়িতে বসল রক্তদান শিবির