দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও বিশেষ শিবির শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকারের। গোসবা, বারুইপুর ,সোনারপুর ,ক্যানিং ,নামখানা, পাথরপ্রতিমা ,ডায়মন্ড হারবার বিভিন্ন জায়গায় এবারের দুয়ারে সরকারে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে। নিবার্চনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আবার ক্ষমতায় এলে তফসিলি জাতি উপজাতি মহিলাদের ১০০০টাকা এবং সাধারণ মহিলাদের ৫০০টাকা করে দেওয়া হবে। সেই মতোই শুরু হয়েছে ফর্ম বিলি করার কাজ।
advertisement
গত ১৬ অগাস্ট থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকারে মাস্টারস্ট্রোক লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে সকাল থেকেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড অফিসগুলির সামনে লম্বা লাইন দিচ্ছেন মহিলারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু সময় হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতিটি বুথে এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলির ছবিটা অবশ্য কিছুটা আলাদা। পাথরপ্রতিমা, সন্দেশখালির মতো জায়গাগুলিতে জনঘনত্ব অনেকটাই কম। তাছাড়া যাতায়াতও খুব সুবিধাজনক নয়। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে সরকারের প্রতিনিধিরাই পৌঁছে যাচ্ছেন ঘরে ঘরে। দেখা যাচ্ছে স্থলপথে না হলেও নৌকোয় করেই এই প্রকল্পের প্রচার চলছে, চলছে ফর্ম বিলি।
ওয়াকিবহাল মহলের মত আগে বহু সরকারি প্রকল্পগুলি ঘোষণার পরে লাল ফিতের পাশে আটকে যেত। দাবি-দাওয়া পেতে মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। ঘুষ দিতে হতো। কিন্তু দুয়ারে সরকার এই ধরনের সমস্যা থেকে মানুষকে অনেকটাই মুক্তি দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন এবং প্রশাসনকে আলাদা রেখে তিনি এই প্রকল্পকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চান।