দূর দূরান্ত থেকে আসা সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই জনসভায় যোগদান করার জন্য পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। আজকের এই জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নবদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে একুশে জুলাইয়ের জনসভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
আরও পড়ুন: শনিবারও চলল গুলি! বিদেশ সফর বাতিল হাসিনার, বাংলাদেশের এখন কী পরিস্থিতি?
advertisement
উল্লেখ্য প্রতিবছরই তিনি তার অনুরাগীদের নিয়ে ট্রেনে করেই ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আজও তার অন্যথা হয়নি। আজ তিনি নবদ্বীপ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। এবং তিনি জানান এর পরবর্তী স্টেশন যেমন সমুদ্রগড় ধাত্রীগ্রাম বাঘনাপাড়া কালনা থেকেও অসংখ্য মানুষজন তাঁর সঙ্গে ট্রেনে করে যাবেন জনসভায় যোগ দিতে।
সকাল থেকে ভিড়ে ঠাসা খড়্গপুর রেল স্টেশনও। ধর্মতলার উদ্দেশ্যে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খড়গপুর স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তৃণমূল নেতা ছোটকা পালের নেতৃত্বে তারা সকলে মিলে রওনা দিলেন খড়্গপুর স্টেশন থেকে।
আরও পড়ুন: এসি থেকে জলের ছিটে? আসল সমস্যা কোথায়? এখনই সাবধান হন, নাহলেই বিরাট টাকার ধাক্কা
একই ছবি কাটোয়াতেও। কাটোয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে হাজারে হাজারে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা শহিদ দিবস মঞ্চে যোগ দিতে কলকাতার পথে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কেতুগ্রাম মঙ্গলকোটের কর্মীরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও প্রচুর তৃণমূল সমর্থক হাওড়াগামী ট্রেন ধরছেন। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকার তৃণমূলের কয়েকশো কর্মী শহিদ দিবসের ছবি আঁকা কালো টিশার্ট পরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শহীদ দিবসে যোগ দিতে কলকাতার পথে রওনা দিলেন।
বাগদা বিধানসভা পুনরুদ্ধারের পর ২১ শে জুলাই-এর সমাবেশে বাড়তি উন্মাদনা তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। বনগাঁ স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন ও গাড়িতে ধর্মতলা মুখী তৃণমূল কর্মীরা। বনগাঁ থেকে সকাল ৮:৮-এর শিয়ালদহ লোকালে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বে ধর্মতলা মুখী তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।
বিশ্বজিৎ দাস জানান, প্রতিবছরই বনগাঁ থেকে মানুষ নতুন রেকর্ড গড়ে। এবছর কুড়ি হাজার কর্মী সমর্থক ধর্মতলা সমাবেশে যোগ দিতে বনগাঁ থেকে যাবেন। তারা ট্রেন এবং বিভিন্ন গাড়ি করে কলকাতা মুখে হয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তা শুনতেই হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক রবিবার সকাল থেকে ধর্মতলার পথে।