স্বামী অখন্ডানন্দ মহারাজ যেমন জনপ্রিয় ছিলেন তেমনই মানবপ্রেমিক ও ছিলেন। মহারাজ পদব্রজে ভ্রমণ করতে বেড়িয়ে ১৮৯৭ সালে মুর্শিদাবাদ আসেন। এরপরই তিনি মুর্শিদাবাদের দাদপুর ও মহুলার কাছে এসে দুর্ভিক্ষ কবলিত মানুষের কষ্ট যন্ত্রণা দেখতে পান নিজের চোখে। তারপরেই সেখান থেকে বেলুর মঠে চিঠি লিখে সমস্ত ঘটনা জানান৷ স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশে শুরু করেন সেবাকাজ এবং প্রতিষ্ঠা হয় সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন।
advertisement
বর্তমানে বিশাল এলাকাজুড়ে অবস্থিত এই মিশনের কর্মকাণ্ডের প্রথম উদ্দেশ্যই ছিল উন্নয়ন সাধন। ১৮৯৭ সালে ১৫ ইমে স্বামী অখন্ডানন্দ মহারাজ ১৮ জনকে দানসেবা করে ছিলেন। তবে নিয়ম মাফিক ১৮ জনকে দান করার পরেও যারা আসেন তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় সামগ্রী । বৈদ্যিক মন্ত্র উচ্চারণ, উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের আনুষ্ঠানিক সেবাকাজের ১২৫ বর্ষ উপলক্ষ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ -এর অনুষ্ঠান করা হয় মহুলায়। এদিন ১৮ জনকে দান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন Underground Room: মাটির নীচে চার বালকের তৈরি ‘পাতালঘর’ তাক লাগিয়ে দেয়
আজ থেকে ১২৫ বছর আগে ১৮৯৭ সালে ১৮ জনকে দান বিতরণ করা শুরু হয়েছিল৷ সেই ধারা আজও বজায় রয়েছে বলে জানান রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী তপনিষ্ঠা নন্দ৷ আজ থেকে ১২৫ বছর আগে আজকের দিনে স্বামীজির অনুপ্রেরণায় ১৮ জন দিয়ে দান শুরু করা হয়েছিল৷ সেই থেকে আজ ও এই ধারা বজায় রাখা হয়েছে বলে জানান মহারাজ কৌশিকা নন্দ।