হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে ছ’শো থেকে সাতশো মহিলা এই হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে আড়াইশো থেকে তিনশো মহিলার সিজার হয়। ফলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দশজন মহিলার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হয়ে থাকে। মহকুমার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং এক ও ক্যানিং দুই ব্লকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব সম্ভব নয়। তাই গোটা মহকুমার মানুষই এই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য।
advertisement
কিন্তু গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের একের পর এক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে এই মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। এখন দিনে একটি বা দুটির বেশি অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, হাসপাতাল সুপার অপূর্বলাল সরকার। তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও গোটা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন সুপার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পথে সুরাহা মিলবে সে সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না কেউই। তবে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে ঘটতে পারে প্রাণহানির মত ঘটনাও, মনে করছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা।