TRENDING:

South 24 Parganas: চিকিৎসকরা আক্রান্ত করোনায়, হাসপাতালে বন্ধের মুখে অস্ত্রোপচার

Last Updated:

চিকিৎসকরা আক্রান্ত করোনায়, ক্যানিং হাসপাতলে বন্ধের মুখে অস্ত্রপ্রচার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: করোনার (Covid-19) কারণে বিপর্যস্ত জেলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা। আক্রান্ত একাধিক চিকিৎসকও নার্স। গত কয়েকদিন ধরে সুন্দরবনের (Sundarbans) প্রত্যন্ত এলাকার প্রসূতি মায়েদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালেই (Hospital) একমাত্র অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সেখানে চিকিৎসকের যথেষ্ট অভাব দেখা দেওয়ায় সবসময় অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালের (Hospital) মোট চারজন এনেস্থেটিক্স এর মধ্যে আগেই দু'জন করোনায় (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার সকালেও একজন নতুন করে করোনায় (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে মাত্র একজন এনেস্থেটিক্স দিয়ে সারাক্ষণ অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়ে উড়ছে না।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল
advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে ছ’শো থেকে সাতশো মহিলা এই হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে আড়াইশো থেকে তিনশো মহিলার সিজার হয়। ফলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দশজন মহিলার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব হয়ে থাকে। মহকুমার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং এক ও ক্যানিং দুই ব্লকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব সম্ভব নয়। তাই গোটা মহকুমার মানুষই এই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভর করে থাকেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের জন্য।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিপ্লবীরা এখানে তৈরি করতেন স্বাধীনতার রণনীতি, আজ সেই মন্দিরই ভক্তিপীঠ, মা কালীর অর্চনা হয়
আরও দেখুন

কিন্তু গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের একের পর এক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে এই মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। এখন দিনে একটি বা দুটির বেশি অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, হাসপাতাল সুপার অপূর্বলাল সরকার। তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও গোটা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন সুপার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পথে সুরাহা মিলবে সে সম্পর্কে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না কেউই। তবে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে ঘটতে পারে প্রাণহানির মত ঘটনাও, মনে করছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষেরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
South 24 Parganas: চিকিৎসকরা আক্রান্ত করোনায়, হাসপাতালে বন্ধের মুখে অস্ত্রোপচার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল