TRENDING:

South 24 Parganas: ফেন্সিং নেট দেখভালের মাধ্যমে কর্মসংস্থান চাইছে সুন্দরবনের মানুষজন

Last Updated:

বাঘ আটকাতে ফেন্সিং নেট দেখভালের মাধ্যমে কর্মসংস্থান চাইছে সুন্দরবনের মানুষজন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নদী, খাড়ি, বাদাবন, জঙ্গল ঘেরা সুন্দরবন (Sundarbans)। এখানেই বাস হিংস্র রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger)। প্রত্যন্ত সুন্দরবনের (Sundarbans) এই অংশে বসবাস করেন বহু মানুষ। যাদের জীবন জীবিকার জন্য নির্ভর করতে হয় জঙ্গলের উপরই। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই একপ্রকার চলে জীবন যুদ্ধ। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খাড়ি বা নদী পাড় হয়ে বহু সময় দক্ষিণরায় প্রবেশ করে লোকালয়। আক্রমণের শিকার হতে হয় গবাদি পশু থেকে মানুষদের। চলতি বছরে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ এর অধিক মৎস্যজীবীর। লোকালয়ে ঢুকে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার। সেই হিংস্র বাঘ কে খাঁচাবন্দি করতে কালঘাম ছুটেছে বনকর্মীদেরও।
নিরাপত্তার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও চাইছে সুন্দরবনের মানুষ
নিরাপত্তার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও চাইছে সুন্দরবনের মানুষ
advertisement

তাই এবার সুন্দরবনে (Sundarbans) প্রায় ৬২ কিলোমিটার লোহার ফ্রেম দেওয়া অ্যালুমনিয়ামের ফেন্সিং নেট বসাতে চাইছে বনদপ্তর সূত্রের খবর। তবে এই অ্যালমনিয়ামের ফেন্সিং নেট বসালেও তা কতটা টেকসই হবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সুন্দরবনের নোনা জলে অল্পদিনেই তা ভেঙে যাবে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। কিন্তু যদি নাইলনের শক্ত ফেন্সিং নেট লাগানো হয়, তবে তা অনেকটাই দীর্ঘস্থায়ী হবে। পাশাপাশি এই অ্যালমনিয়ামের নেট লাগানোর ফলে কাজ হারাবেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী একশো দিনের লেবাররা। প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের জঙ্গলে বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে লাগানো নাইলন জালের তদারকি ও ম্যানগ্রোভ তৈরি সহ ম্যানগ্রোভ অরণ্য স্থাপন, এলাকার দরিদ্র জনসাধারণের একশো দিনের কাজের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। অ্যালমনিয়ামের ফেন্সিং নেট বসালে কাজ হারাবেন এই সমস্ত প্রান্তিক এলাকার মানুষজন। অপরদিকে এই ফেন্সিং নেট বসানো যথেষ্টই ব্যয় সাপেক্ষ। তাই সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া লোকালয় থাকা মানুষেরা চাইছেন নাইলনের শক্ত জাল দিয়ে ঘেরা হোক জঙ্গল। জাল তদারকির কাজে নিযুক্ত করা হোক স্থানীয় একশো দিনের কাজের মানুষদের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিপ্লবীরা এখানে তৈরি করতেন স্বাধীনতার রণনীতি, আজ সেই মন্দিরই ভক্তিপীঠ, মা কালীর অর্চনা হয়
আরও দেখুন

এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানও রইল, অপরদিকে জাল তদারকির মধ্যে দিয়ে হিংস্র বাঘের থেকে রক্ষাও মিলবে।বিশেষজ্ঞদের মত, জঙ্গলে বাঘের পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে একদিকে যেমন খাদ্যের সংকুলান দেখা দিতে পারে, অপরদিকে নোনাজল জঙ্গলে ঢুকে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণরায়। সেই কারণেই মিঠা জলপান এর জন্যই লোকালয়ে প্রবেশ করছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ প্রসঙ্গে যদিও বনদপ্তর আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাদের বক্তব্য, 'উপরমহল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করা হবে। তবে জাল দিয়ে ঘিরে দিলে বাঘের লোকালয়ে প্রবেশ অনেকটাই আটকানো যাবে বলে মনে হয়।' সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন হিংস্র বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য ও পাশাপাশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অবশ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই আস্থা রাখছেন। তাদের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী তাদের কথা ভেবে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।'

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ ২৪ পরগনা/
South 24 Parganas: ফেন্সিং নেট দেখভালের মাধ্যমে কর্মসংস্থান চাইছে সুন্দরবনের মানুষজন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল