তাই এবার সুন্দরবনে (Sundarbans) প্রায় ৬২ কিলোমিটার লোহার ফ্রেম দেওয়া অ্যালুমনিয়ামের ফেন্সিং নেট বসাতে চাইছে বনদপ্তর সূত্রের খবর। তবে এই অ্যালমনিয়ামের ফেন্সিং নেট বসালেও তা কতটা টেকসই হবে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সুন্দরবনের নোনা জলে অল্পদিনেই তা ভেঙে যাবে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। কিন্তু যদি নাইলনের শক্ত ফেন্সিং নেট লাগানো হয়, তবে তা অনেকটাই দীর্ঘস্থায়ী হবে। পাশাপাশি এই অ্যালমনিয়ামের নেট লাগানোর ফলে কাজ হারাবেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী একশো দিনের লেবাররা। প্রতিনিয়ত সুন্দরবনের জঙ্গলে বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে লাগানো নাইলন জালের তদারকি ও ম্যানগ্রোভ তৈরি সহ ম্যানগ্রোভ অরণ্য স্থাপন, এলাকার দরিদ্র জনসাধারণের একশো দিনের কাজের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। অ্যালমনিয়ামের ফেন্সিং নেট বসালে কাজ হারাবেন এই সমস্ত প্রান্তিক এলাকার মানুষজন। অপরদিকে এই ফেন্সিং নেট বসানো যথেষ্টই ব্যয় সাপেক্ষ। তাই সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া লোকালয় থাকা মানুষেরা চাইছেন নাইলনের শক্ত জাল দিয়ে ঘেরা হোক জঙ্গল। জাল তদারকির কাজে নিযুক্ত করা হোক স্থানীয় একশো দিনের কাজের মানুষদের।
advertisement
এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানও রইল, অপরদিকে জাল তদারকির মধ্যে দিয়ে হিংস্র বাঘের থেকে রক্ষাও মিলবে।বিশেষজ্ঞদের মত, জঙ্গলে বাঘের পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে একদিকে যেমন খাদ্যের সংকুলান দেখা দিতে পারে, অপরদিকে নোনাজল জঙ্গলে ঢুকে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণরায়। সেই কারণেই মিঠা জলপান এর জন্যই লোকালয়ে প্রবেশ করছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ প্রসঙ্গে যদিও বনদপ্তর আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাদের বক্তব্য, 'উপরমহল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করা হবে। তবে জাল দিয়ে ঘিরে দিলে বাঘের লোকালয়ে প্রবেশ অনেকটাই আটকানো যাবে বলে মনে হয়।' সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন হিংস্র বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য ও পাশাপাশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অবশ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই আস্থা রাখছেন। তাদের দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রী তাদের কথা ভেবে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।'