কিছু দিন সংখ্যাটা শূন্য থাকার পর নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। শহর লাগোয়া সোনারপুরের পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং, সহ জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায়। সপ্তাহ দুয়েক আগে যেখানে ভাঙড় দুই নম্বর ব্লকে কোভিড আক্রান্ত এক জনও ছিল না, সেখানে চলতি সপ্তাহে দুটি অ্যাক্টিভ কেস পাওয়া গেছে। ভাঙড় এক নম্বর ব্লকে আবার সংখ্যাটি বেড়ে দশ হয়েছে। মোট ৭৬৬ জনের টেস্ট করে ওই দশ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলিছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। এদের মধ্যে চারজন হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, ‘বাস, অটো , রিক্সা কোথাও মাস্ক ছাড়া যাত্রী তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। সাদা পোশাকের পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে নজরদারি চালাচ্ছেন। বিনা মাস্কে কাউকে দেখলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।‘
advertisement
এদিন ভাঙড় এক, ভাঙড় দুই এবং ক্যানিং দুই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকশো মানুষকে ফুড কিট দেওয়া হয়। লকডাউনের জেরে যারা কাজ হারিয়েছেন কিংবা যাঁদের পরিবারের উপার্জনকারী কোভিডে মারা গিয়েছেন তাঁদের জন্য পরিবার পিছু পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দু কেজি করে আলু দেওয়া হয়। ক্যানিং দু'নম্বর ব্লকের বিডিও প্রণবকুমার মণ্ডল বলেন, ‘করোনা তো আছেই সেই সঙ্গে বুলবুল, ইয়াস সবই এই ব্লকে তাণ্ডব চালিয়েছিল। যার জেরে বহু মানুষ সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। তাই আপাতত তিনশোর বেশি দুঃস্থ পরিবারের হাতে সামান্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হল। আগামী দিনে আরও বেশি করে সামগ্রী দেওয়া হবে।‘
