বারুইপুরের হারালের বাজি গ্রামে কচিকাঁচা পড়ুয়াদের এভাবেই অভিনব শিক্ষাদান শুরু করেছে 'সৃজন'। হরিনাভির সৃজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিচালনায় চলছে বারান্দা স্কুল (South 24 Parganas News)৷ বাজি গ্রামেই রয়েছে ওই সংস্থার পরিচালিত একটি বিনা পয়সার স্কুলও। সেই স্কুলেই পঠন-পাঠন চলত শিশু শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের৷ লকডাউন পরবর্তী সময়, সেই সব পড়ুয়াদের নিয়েই বারান্দা স্কুল শুরু করেছেন স্কুলের শিক্ষিকারা। চম্পাহাটির হারাল গ্রাম বাজির জন্য বিখ্যাত। এই গ্রামের ঘরে ঘরে তৈরি হয় বাজি। আর সেই বাজি তৈরিতেই সামিল হয় ছোট থেকে বড় সকলেই। ফলে এই এলাকায় ছোটদের লেখাপড়ার আগ্রহ অনেকটাই কম। তবুও স্কুল তৈরি হওয়ার পর অনেকেই তাঁদের শিশুদের স্কুলমুখী করতে আগ্রহী হয়েছিলেন। বর্তমানে, করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশোনার সেই অভ্যাস অনেকটাই চলে গিয়েছে শিশুদের। আনলক পর্বে, ওই অবৈতনিক স্কুলের তরফ থেকে একটি অভিভাবক সভা ডাকা হয়৷ সেখানেই ঠিক করা হয় ক্ষুদে পড়ুয়াদের বাড়ির বারান্দায় গিয়ে, শিক্ষিকারা করোনা বিধি মেনে পড়াশোনা করাবেন। আর এখন সেই মতই চলছে ক্লাস।
advertisement
বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুমিত্রা ভট্টাচার্য জানান, "করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কবে স্কুল খুলবে তা কারুর জানা নেই । তাই অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে ছোট ছোট পড়ুয়াদের বাড়ির বারান্দায় বসে পড়ানোর কাজ চলছে৷ আমাদের স্কুলের প্রতিটি শিক্ষিকা প্রতিদিন তিনটি করে জায়গায় গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন। ফলে শিশুরা আবার পড়ার মধ্যে ফিরে আসছে"। হরিনাভি সৃজন সংস্থার প্রধান রূপক চৌধুরী জানান, "গত প্রায় দু বছর ধরে শিশুদের পড়াশোনা বন্ধ৷ বেল পাহাড়ির দুই যুবকের কাজের অনুকরণে, এই অভিনব শিক্ষা পদ্ধতি এখানেও শুরু করেছি আমরা। আর এর ফলে, শিশুরা আবার পড়াশোনার মধ্যে ফিরে আসছে"। (South 24 Parganas News)শিশুদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ তৈরির পাশাপাশি পড়াশোনার এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সমাজের বুদ্ধিজীবী মহলও।
