বন আধিকারিক, ডিএফও সহ কনজারভেটর অব ফরেস্টও টানা কয়েকদিন ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন কুলতলির শেখ পাড়া এলাকায়। পূর্ণবয়স্ক রয়েল বেঙ্গল টাইগার কে খাঁচাবন্দি করাই এক প্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল বনকর্মীদের কাছে। গোটা এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা সহ ড্রোনের মাধ্যমে খোঁজ চালানো হলেও বাঘ ধরা না পড়ায় এলাকার লোকজন বনকর্মীদের প্রচেষ্টায় ক্ষুব্দ হচ্ছিলেন। তবে মঙ্গলবার সকালে মিলল সাফল্য।পিয়ালি বিট অফিস সংলগ্ন ডোঙ্গাজোড়ার শেখপাড়া এলাকায় বাঘের দর্শন পাওয়া গেলে, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি চালান। গুলি বাঘের গায়ে লাগতেই কিছুক্ষণের অপেক্ষা। অবশেষে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর খাঁচাবন্দি কুলতলির লোকালয়ে ঢুকে পড়া সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিএফও মিলন মন্ডল জানান, 'দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বনদপ্তর এর পাতা খাঁচায় ধরা পরল বাঘটি। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে নিস্তেজ করে খাঁচা বন্দি করা হয়। এরপর বাঘটির চিকিৎসা করে তবেই ছাড়া হবে জঙ্গলে।'বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ' বাঘটি যে খাঁচাবন্দি করা গিয়েছে তা,বনদপ্তর এর সাফল্য। লোকালয় বাঘ ঢুকলেও বনদপ্তরের তৎপরতায় কেউ হতাহত না হয়ে বাঘটি বন্দি হওয়ায় আতঙ্কের থেকে মুক্তি পেল সুন্দরবন কুলতলীর বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন।'
advertisement
খাঁচা বন্দি বাঘ দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষজন। যা সামাল দিতে রীতিমতো পুলিশ মোতায়েন করতে হয় এলাকায়। বাঘ খাঁচাবন্দি হওয়ায় আতঙ্ক থেকে মুক্তির পাশাপাশি আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সুন্দরবন কুলতলী শেখ পাড়া এলাকার বাসিন্দারা।
