এদিন বঙ্গ বিজেপি-র মুখ দিলীপ বলছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব জায়গায় নাটক করেন৷ উনি নাটক করতে পছন্দ করেন৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি স্বাস্থ্য সাথীর যোগ্য? নোটবাতিলের সময় রাহুল গান্ধিও লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংক থেকে ১০ হাজার টাকা তুলেছিলেন। যে নিজে ৫০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত! ওঁরা কি বুঝতে পারেন না যে, মানুষ এই নাটক বুঝে গিয়েছে৷ বাংলায় এই নাটক আর কাজে আসবে না৷"
advertisement
এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ হরিশ মুখার্জি রোডে কলকাতা পুরসভার অডিটোরিয়াম জয় হিন্দ ভবনে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়েছেন মমতা। কলকাতা পুরসভার এই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দাই রাজ্যের মাননীয়া৷ মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা, পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কার্ড নেওয়ার পর এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা বলেছেন, "আমি বেতন বাবদ ১ টাকাও নিই না৷ কিন্তু এই কার্ড সকলের জন্য৷ যখন সকলে যদি এই কার্ড নিচ্ছেন, তাহলে আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে এই কার্ড নিয়ে আমি গর্বিত৷ এটা আমি সংরক্ষণ করে রাখব৷"
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড একটি বড় হাতিয়ার৷ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে এড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথীকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন৷ ভোটের আগে সরকারি প্রকল্পকে মানুষের দরজায় দরজায় পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার এনেছে ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্প৷
সরকারের এই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় থাকলে রাজ্যের এবং রাজ্যের বাইরের যে কোনও সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাবে । গোটা দেশের ১৫০০-র বেশি হাসপাতালে এই সুবিধা পাওয়া যাবে৷ আগে স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা সকলে পেতেন না। এই স্বাস্থ্য বিমায় পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি নাগরিককে এই বিমার আওতায় আনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ তাই স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা এখন সকলের জন্য।