উপত্যকায় কেন রাজ্যপালের শাসন তার উত্তর খুঁজতে ফিরতে হবে সংবিধানের পাতায়। সাধারণত কোনও রাজ্যে নির্বাচিত সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে, অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণ না হলে না বিধানসভার নেতা নির্বাচিত না হলে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট রাজ্যে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের ৯২ নম্বর ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানে রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে জারি হয় রাজ্যপালের শাসন।
advertisement
আরও পড়ুন
ইস্তফা দিলেন দেশের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম
রাজ্যপালের শাসন জারির প্রথম ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন করে নবনির্বাচিত সরকারের হাতে রাজ্যের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রথম ছয় মাসের মধ্যেও যদি নির্বাচন কমিশন উপত্যকায় নির্বাচন করাতে ব্যর্থ হয় তাহলে রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে ফের বাড়তে পারে রাজ্যপাল শাসনকালের মেয়াদ।
১৯৭৭ সাল থেকে এই নিয়ে অষ্টমবার কেন্দ্রের শাসন জারি হবে স্পর্শকাতর এই রাজ্যে ৷ কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তে লাগাম টানতে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি প্রত্যাহার করতে চাইছিল বিজেপি ৷ তবে প্রথম থেকেই এর বিপক্ষেই ছিল পিডিপি ৷ সেই থেকেই শুরু হয় বিজেপি-পিডিপি মতবিরোধ ৷ গত পরশু সংঘর্ষবিরতির চুক্তি প্রত্যাহার হয় উপত্যকায় ৷ তারপরই কাশ্মীরের জোট সরকার থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় বিজেপি ৷ ভাঙে পিডিপি-বিজেপি জোট ৷ পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ৷
উল্লেখ্য,পবিত্র রমজান মাসে, উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে ১৭ মে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করে কেন্দ্র ৷ কিন্তু কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৭ এপ্রিল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ১৮টি হিংসার ঘটনা ঘটলেও, সংঘর্ষে বিরতির সময় প্রায় ৫০টি হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ খুন হন সাংবাদিক সুজাত বুখারিও ৷ এতেই প্রমাদ গোনে কেন্দ্র ৷ তড়িঘড়ি চুক্তি প্রত্যাহারের ডাক দেওয়া হয় ৷