২০০৯ সালে বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু, সেই সময় পরীক্ষা হয়নি। ২০১২ সালে হয় সেই পরীক্ষা। তার পরে শুরু হয় নিয়োগ। ওই নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন শিবশক্তি সিট-সহ ৩৫ জন।
আরও পড়ুন: গেরুয়া রাজনীতির সঙ্গে তফাৎ কী! 'সঠিক ইতিহাস' পড়াবে সিপিআইএম, শহরের ২৫ জায়গায় চলছে ক্লাস
advertisement
মামলকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, গত জুন মাসে শিউলি সাহা প্রকাশ্য জনসভা থেকে বলেছেন, "দাদামণি (শুভেন্দু অধিকারী), আমি বোর্ডে ছিলাম। পূর্ব মেদিনীপুরে কী ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তা আমি জানি।" বিধায়ক শিউলি সাহার ওই মন্তব্যের উপর ভিত্তি করেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ টানেন মামলাকারীরা।
আরও পড়ুন:রাতভর মাঠে-মাঠে ঘুরছেন বিডিও, চন্দ্রকোনায় হঠাৎ হল টা কী? চাঞ্চল্য এলাকায়
তার পরেই মামলাকারীদের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন, তাহলে ১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এত দিন কেন হাইকোর্টে আসেননি চাকরিপ্রার্থীরা? তাহলে কি মামলার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে?
উত্তরে মামলাকারীরা জানান, রাজনৈতিক ভয়েই তাঁরা এতদিন মুখ বুজে ছিলেন, তা ছাড়া, কোন কোন শিক্ষক বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তখন তা প্রকাশ্যে আসেনি। এখন সেই সব নাম জেনেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, মামলাকারীদের এই যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিচারপতি জানান, কোথায় কোন সভায় কোন নেতা কী দাবি করেছেন, তার ভিত্তিতে একটা দুর্নীতির মামলা হতে পারে না। এ জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ প্রয়োজন। এরপরেই মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত।