এবিষয়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম সেন জানান, গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করতে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংক পশ্চিমবঙ্গের চারটি জেলায় সমস্তরকম ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিয়ে আসছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে পিএফআরডিএ পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের অটল পেনসন যোজনার প্রচার চালানো হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাংক সখি, ব্যাংক মিত্র সহ বিভিন্ন তথ্য, প্রচারকরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে, সাধারণ মানুষকে ওই পেনসন যোজনাটি গ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে।ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২৩০ টি শাখা মিলে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজারের বেশী মানুষকে অটল পেনসন যোজনার আওতায় নিয়ে এসেছে।
advertisement
উল্লেখ্য, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের জন্য ২০১৫ সালে এই পেনসন যোজনাটি চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার।বেসরকারি খাতে বা কোন বৃত্তিতে নিযুক্ত মানুষরা যারা বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাননা, তারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। ৬০ বছর বয়সের পর তারা ১,000/- টাকা, ২,000/- টাকা, ৩,000/- টাকা, ৫,000/ 8,000/- টাকা এগুলির মধ্যে যেকোনো একটি টাকার একটি নির্দিষ্ট বার্ধক্যভাতা নির্বাচন করতে পারেন। অর্থ বিনিয়োগের পরিমাণ এবং ব্যক্তির বয়স অনুযায়ী বার্ধক্যভাতা নির্ধারণ করা হবে। আবেদনকারীর মৃত্যুর পরে, আবেদনকারীর স্ত্রী বার্ধক্যভাতা দাবি করতে পারেন এবং স্ত্রীর মৃত্যুর পর মনোনীত ব্যক্তি (নমিনি) সেই অর্থ পাবেন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিনিয়োগ নিয়মানুযায়ী এই প্রকল্পের অধীনে পেনশন তহবিল এই টাকা জমা হবে। ব্যক্তিগত প্রার্থীদের পেনশন তহবিল বা বিনিয়োগ বণ্টনে নির্ধারিত কোন উপায় নেই।