কেন্দ্রীয় সরকারকে সহজ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। জানতে চাইলেন," কুড়ি দিন হতে চলল। আর কত মানুষের মৃত্যু দেখবেন? প্রতিদিনই কৃষক মারা যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করে আত্মহত্যা করছে। কেউ প্রবল ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে মারা যাচ্ছে।তাতেও আপনাদের সিদ্ধান্ত বদল হচ্ছে না? প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে এই আইন নিয়ে আসা কী খুব জরুরী ছিল? দেশের ইতিহাসে এই প্রথম বার এমন ঘটনা ঘটল যখন রাজ্যসভায় ভোটাভুটি না করিয়ে আইন পাশ করিয়ে নেওয়া হল। প্রতিবাদ হিসেবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই তিনটি আইন আমি ছিঁড়ে ফেললাম। যা পারেন করে নিন। কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ ব্রিটিশদের পর্যায়ে নিজেদের নিয়ে যাবেন না।"
advertisement
এখানেই থামেননি তিনি। প্রশ্ন করেন,"কোন পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের বোঝাচ্ছেন তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হবে না? কিসের ভিত্তিতে বলছেন তাদের সুবিধা হবে?" এই আইনে কৃষকদের কোন ও সুবিধা হবে না। জেনে বুঝে চোখে কাপড় না বাঁধার অনুরোধ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
কৃষকদের এই আন্দোলন দেশের নাম ডুবিয়ে দিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি কৃষকরা ভগৎ সিং হয়ে উঠেছেন বলেও মন্তব্য করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই যেভাবে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভগৎ সিং,অনেক অত্যাচার সহ্য করে শেষপর্যন্ত প্রাণ দিয়েছিলেন, এই কৃষক আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকে আর কোনও অংশে কম নেই বলেই মনে করেন কেজিওয়াল।
কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি কিছু না বললেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্যবহারের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। এমনকি নিজের রাজ্যে তিনি নতুন কৃষি আইন এনেছেন, আর এখানে কৃষকদের ভুল বোঝাতে আসরে নেমেছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কেজিওয়াল অবশ্য নিজের বক্তব্য থেকে এক ইঞ্চি পিছু হটবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।