আরশোলার বিলুপ্তি পুরো পৃথিবীর ইকো-সিস্টেমের জন্য একটি গুরুতর সতর্কতা হবে। জঙ্গলের উৎপাদন, মাটির গুণমান, খাদ্য শৃঙ্খলার ভারসাম্য, ছোট জীব-জন্তুর অস্তিত্ব, সবকিছুর উপর গভীর আঘাত আসবে।
PNAS অর্থাৎ প্রোসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, আরশোলার মধ্যে থাকা ব্লাটাব্যাক্টেরিয়াম নামক ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেনকে পুনর্ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে রূপান্তরিত করে। এই কারণেই তারা অত্যন্ত কঠিন পরিবেশেও বেঁচে থাকে এবং সেই জায়গাগুলিতে ইকো-সিস্টেমে ভারসাম্য বজায় রাখে, যেখানে অন্যান্য পোকা বেঁচে থাকতে পারে না। যদি এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়, তা হলে অনেক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে, যার প্রভাব মানব জীবনে পড়বে।
advertisement
আরশোলাদের একটি বড় অংশ ঘরে নয়, বরং ঘন জঙ্গলে বাস করে। তারা পড়ে থাকা গাছ, পাতা, পচা গাছপালা এবং কাঠ চিবিয়ে ছোট ছোট কণায় পরিণত করে। এই প্রক্রিয়াই জঙ্গলের মাটিতে নাইট্রোজেন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ফিরিয়ে দেয়। তারা বিলুপ্ত হয়ে গেলে জঙ্গলের মাটিতে জৈব আবর্জনার স্তর জমা হবে। ভাঙনের গতি ধীর হয়ে যাবে এবং মাটির উর্বরতা কমতে শুরু করবে। ধীরে ধীরে গাছের বৃদ্ধি দুর্বল হবে।
আরও পড়ুন- মানুষের আয়ু হতে চলেছে ১৫০ বছর! বিশ্বজুড়ে চর্চায় চিনের ‘লংজিভিটি পিল’! জেনে নিন এর ক্ষমতা
আরশোলার বিলুপ্তি পৃথিবীকে শেষ করবে না, কিন্তু দুর্বল করে দেবে। পৃথিবীতে অনেক জীব আছে যাদের গুরুত্ব আমাদের চোখে পড়ে না, আরশোলা তাদের মধ্যে অন্যতম।
