মানি লাইন (Money Line)
আঙুলের ঠিক নিচেই যে লম্বা রেখাটি থাকে, তার নামই হল মানি লাইন বা ধনরেখা। এই রেখা যদি গভীর এবং স্পষ্ট হয়, তাহলে তা আমাদের ধনসমৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে অর্থভাগ্য সুপ্রসন্ন, উপযুক্ত প্রচেষ্টায় তা সুফল প্রসব করতে পারে। অন্য দিকে, এই রেখা যদি বাঁক নেয়, তার গায়ে গায়ে যদি আরও কিছু রেখার অস্তিত্ব চোখে পড়ে, তাহলে হস্তরেখা বিদ্যা বলে যে কোনও এক পথে নয়, বরং অনেক পথে অর্থাগমের সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
সূর্য রেখা (Sun Line)
দুই হাতের পাতা যোগ করলে যে অর্ধগোলাকার রেখাটি চোখে পড়ে, তাকে বলা হয় সূর্য রেখা বা সান লাইন বা অ্যাপলো লাইন (Apollo Line)। এই রেখার অস্তিত্ব যাঁদের হাতে গভীর ভাবে থাকে, বিশ্বাস করা হয় যে তাঁদের জীবনে কোনও দিন অর্থকষ্টের মধ্যে পড়তে হয় না। হস্তরেখা বিদ্যা এক্ষেত্রে বলে যে সূর্য রেখা গভীর হলে জীবনে প্রভূত ধনাগম হয়, অনেক ক্ষেত্রেই উত্তরাধিকার সূত্রে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অর্থসৌভাগ্য সুনিশ্চিত হয়ে থাকে।
ভাঙাচোরা মানি লাইন
মানি লাইন যদি মাঝে মাঝে ভাঙাচোরা হয়, তা যদি একটানা না হয়, যদি আবছা হয়, তাহলে হস্তরেখা বিদ্যা বলে যে ধনাগমের পথটি কঠিন হয়ে পড়ে! এক্ষেত্রে সামান্য অর্থ উপার্জনের জন্য, ন্যায্য প্রাপ্যের জন্যও অন্যদের তুলনায় অতিরিক্ত এবং কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়।
ত্রিভুজের অস্তিত্ব
তর্জনী এবং বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের মাঝে যে রেখাগুলো থাকে, তা যদি যোগ করে একটি ত্রিভুজের আকার তৈরি হয়, তবে হস্তরেখা বিদ্যা অনুসারে অর্থভাগ্য অতীব উজ্জ্বল হয়। এক্ষেত্রে বলা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অতি সহজেই অন্যদের চেয়ে প্রভূত পরিমাণে অর্থ উপার্জনের অধিকারী হন।
সূর্য রেখার শাখা
যদি মধ্যমা অঙ্গুলির দিকে সূর্য রেখার একটি শাখা নির্গত হয়. তাহলে তা হস্তরেখা বিদ্যা অনুসারে বাণিজ্যিক বুদ্ধির পরিচায়ক। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে উদ্যম এবং এই রেখার সাহায্যে ব্যবসায়ে সমৃদ্ধি আসে, পরিবারে অর্থের অভাব কখনই হয় না।