এমনিতে জেলা প্রশাসনের তরফে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এর জন্য ভোটের স্লিপ তো দেওয়া হচ্ছেই, সেই সঙ্গে দেওয়ালে দেওয়ালে স্লোগান লিখে ভোটদানের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
advertisement
আর জেলা প্রশাসনের এহেন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে হাটা থানার কনস্টেবল মণীশ সেন তাঁর নিজের বোনের বিয়ের কার্ডে সকলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। মণীশের বোন আরতির বিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর সেখানে ভোট হবে আগামী ২৬ এপ্রিল। কনস্টেবল মণীশের মতে, এই চিন্তাভাবনার পিছনে আদতে রয়েছেন তাঁর বোনই। যা আজ মানুষকে ভোটদানের বিষয়ে সচেতন করছে। আর যাঁদের হাতেই সেই আমন্ত্রণপত্র পড়েছে, তাঁরা এর প্রশংসা না করে থাকতেই পারেননি!
আসলে ভোট দেওয়ার অর্থ কেবলমাত্র বোতাম টেপা নয়। কারণ ভোট দেওয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজের পছন্দের সরকারকে বেছে নিতে সক্ষম হন। যেসব বাড়িতে আরতির বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে, সেখানকার মানুষ কার্ডে লেখা আবেদন পড়ে খুবই প্রশংসা করছেন। কনস্টেবল মণীশ সেন বলেন যে, ‘‘বোন আরতির বিয়ে হতে চলেছে ২৩ এপ্রিল। সেই কারণে আমি বর্তমানে সাগরে রয়েছি। কারণ সাগর থেকেই আমার বোনের বিয়ে হচ্ছে। তবে ভোটারদের কাছে আমার পরিবার যে আবেদন করেছে, তা সকলেই কার্যকর করার চেষ্টা করুন। এটাই আমার আবেদন।’’ হাটা থানার উপ-পরিদর্শক শত্রুঘ্ন দুবেও এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।