ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৫০২-এ ছিলেন ৭৬ জন যাত্রী এবং ৫ জন ক্রু সদস্য। সবাই যে যার মতো সিটে বসে রয়েছেন। শান্ত পরিবেশ। আচমকা এক যাত্রী সামনের সিটে লাথি মারতে শুরু করলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিটের উপর চড়ে বসলেন তিনি। তারপর আর একটা সিটের পিছনে লাথি। এত জোরে লাথি মারেন যে সিটটাই খুলে পড়ে যায়। এরপর তার উপর উঠে দাঁড়িয়ে লাফাতে শুরু করেন তিনি।
advertisement
এখানেই থামেননি ওই ব্যক্তি। প্লাস্টিকের ট্রে টেবিলের দিকে চোখ পড়তে সেটাকেও আছাড় মেরে ভাঙার চেষ্টা করেন। আশপাশের যাত্রীরা অবাক। হচ্ছেটা কী? প্রথমে ঘাবড়ে যান তাঁরা। তারপরই বিমানের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। গোটা ঘটনার ভিডিও করেন গিনো গালোফারো নামের এক যাত্রী। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কয়েকজন যাত্রী এবং তিনি ওই ব্যক্তিকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ফ্লাইট অ্যাটেডেন্ট চুপচাপ দেখছিলেন। কিছুই করেননি।
গালোফারো বলেন, “এমন ঘটনা দেখে দ্রুত ভিডিও করে রাখি। দেখলাম ফ্লাইট অ্যাটেডেন্ট পাশ দিয়ে হেঁটে চলে গেলেন। কিছুই করলেন না। অধিকাংশ যাত্রীই যেন মজা দেখছে। তখন আমিই উঠে গিয়ে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করি। আরও দু’জন যাত্রী ফ্লাইট অ্যাটেডেন্টের কাছ থেকে জিপ টাই নিয়ে আসেন।” গালোফারো এবং অন্যরা সেই জিপ টাই দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন ব্যক্তিকে। তারপর বেল্ট দিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
পরে একটি বিবৃতিতে ১৬ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। বিমান লস অ্যাঞ্জেলসে অবতরণের পর ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফ্লাইট ক্রুদের ধন্যবাদ জানিয়ে এয়ারলাইন্স সংস্থা আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত যাত্রীকে ব্যান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি আর ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানে উঠতে পারবেন না।
চলতি মাসের শুরুতেই ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। অভিযোগ, ঘুমন্ত সহযাত্রীকে ঘুষি মেরে মুখ ফাটিয়ে দিয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সী এভারেট চাল নেলসন নামের এক ব্যক্তি। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানেই এহেন কাণ্ড ঘটল।